আ.লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধ করেন: মুসলিম লীগ সভাপতি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ইস্যুতে অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, মুসলিম লীগ ভেঙে আওয়ামী লীগ হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ এমনিতেই মুসলিম লীগের জন্য নিষিদ্ধ। আওয়ামী লীগকে ইমিডিয়েটলি নিষিদ্ধ করা হোক ।
শনিবার ইনস্টিটিউশন
অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে এসব
কথা বলেন অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ। এর আগে কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত
হন তিনি ।
মহসীন রশিদ
বলেন, মুসলিম লীগ এই ভূখণ্ডের একমাত্র দল, যারা ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণের জন্য কাজ
করেছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু
ক্ষমতা আঁকড়ে থাকেনি। মুসলিম লীগ নেতাদের কেউ দুর্নীতি করেনি। মুসলিম লীগ নেতারা জনগণের
জন্য কাজ করতে গিয়ে জমিদার থেকে ফকীর হয়েছে কিন্তু অনৈতিক কিছু করেনি। মুসলিম লীগ কুরআন
হাদিসবিরোধী কোনো কাজও করেনি।
এর আগে ২০২৪
সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চান। তখন থেকে অ্যাডভোকেট মহসীন
রশিদ দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এদিন কাজী আবুল
খায়ের চতুর্থবারের মতো মহাসচিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিত হওয়ার
পরে এক প্রতিক্রিয়ায় কাজী আবুল খায়ের বলেন, মুসলিম লীগ বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয়
দল। দেশের বেশীরভাগ রাজনৈতিক দলের বর্তমান নেতৃবৃন্দের প্রায় সবাই মুসলিম লীগের উত্তরসূরি।
যদি কোনোদিন ক্ষমতায় যেতে পারি, মুসলিম লীগকে আবার তার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া
হবে।
অধিবেশন কাউন্সিলে
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৩টি ধারায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে। ১৯৭৪, ১৯৭৮ ও ২০০৯
সালের প্রণীত আইন দ্বারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।
দশম জাতীয় কাউন্সিল
অধিবেশন বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি)
প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল
আলম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক
মো. রাশেদ খাঁন প্রমুখ।
এছাড়াও অন্য
দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে এনসিপি, জাগপা, এলডিপি, গণতান্ত্রিক পার্টিসহ বিভিন্ন দলের
নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।