পিআর পদ্ধতিতে কিছু দলের দ্বিমত আশাহত করে: ইসলামী আন্দোলন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে প্রত্যাশা ছিল আইনি সংস্কার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শুদ্ধতা আসবে। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। কিন্তু সংস্কার নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের মনোভাব, পিআর পদ্ধতিতে একমত না হওয়া এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহিংসতার পুরোনো চিত্র আমাদের আশাহত করে।
শনিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার ৫৪ বছরের প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি, জালিয়াতি ও ভোটকেন্দ্রিক সহিংসতা হয়েছে। ফলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন হয়নি এবং দেশ ক্রমান্বয়ে স্বৈরতন্ত্রের দিকে গেছে। যার চূড়ান্ত ও নগ্ন রূপ দেখেছি গত ১৫ বছরে।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বসে থাকবে না। আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা যা করতে হয় তাই করব। কাউকেই ভোট চুরি বা ডাকাতি করতে দেওয়া হবে না। কেউ অবৈধ ভোট দিতে চাইলে তাকে প্রতিহত করা হবে। কেউ মাস্তানি করতে চাইলে তাকে শায়েস্তা করা হবে। সেজন্য সারা দেশের সব শাখার সাংগঠনিক ও প্রশিক্ষণ বিভাগকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিতে হবে।
কর্মশালায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু তারা দেশের একটা শাখাতেও নিয়মতান্ত্রিক কমিটি করতে পারেনি। কমিটি দিতে গেলে সহিংসতা শুরু হবে, যা বিএনপির নেতৃত্ব সামাল দিতে পারবে না। এই অনিয়ন্ত্রিত ও সহিংসতাপ্রবণ দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। সেজন্য সাংগঠনিক মজবুতি, দাওয়াতি কার্যক্রম ও নির্বাচনি কৌশল আয়ত্বে আরও বেশি মনযোগী হতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাংগঠনিক বিভাগভিত্তিক ধারাবাহিক কর্মশালার অংশ হিসেবে আজ (শনিবার) সারা দেশের জেলা ও মহানগর শাখার সাংগঠনিক এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত এই কর্মশালায় সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করে মজবুতি অর্জনের পথে সম্ভাবনা, সমস্যা ও কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
