জামায়াতকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বসহ (পিআর) বিভিন্ন দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি সমানতালে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আবার পিআর ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না এমনটিও বলছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে জামায়াতের ছাত্রসংগঠন শিবিরের বিজয়ের পর দলটি আরও বেশি উচ্চাকাঙক্ষী হয়ে উঠেছে। এই ফলকে পুঁজি করে সামনের নির্বাচনে চমক দেখাতে চাইছে তারা। তবে দেশব্যাপী জামায়াতের সমর্থন ও সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোরালো আলোচনা রয়েছে।
জামায়াতের সাম্প্রতিক রাজনীতি, জোট গঠন তৎপরতা ও বিদেশ কানেকশন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়’। ভারতীয় সাংবাদিক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পূর্বের হাওয়া: পর্ব ৩— ইসলামি জোট গড়ে জয়ী হতে কি পারবে জামায়াত’ শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদনে এ নিয়ে নানা বিশ্লেষণ উঠে আসে।
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে কাজ করে আসা মার্কিন কনস্যুলেটের এক কূটনীতিক জামায়াতে ইসলামীকে আমেরিকার পছন্দের কিছু কারণ উল্লেখ করেন। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করেনি।
সংবাদমাধ্যমটি ওই কূটনীতিকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী কেন এত প্রিয় আপনাদের কাছে? জবাবে তিনি অনেকগুলো কারণ দেখিয়েছিলেন। সেগুলো নিম্নরূপ-
এক. জামায়াত নেতারা উচ্চশিক্ষিত। বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত সফল।
দুই. তাদের আচরণ (ম্যানারস) খুব ভদ্র-সভ্য। কথা বলা যায় তাদের সঙ্গে।
তিন. তারা ফেলে আসা ইতিহাসের কোনো একটি সময়ে ভিন্ন পদক্ষেপের (মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতা) কারণে বাংলাদেশের শাসক দলের হাতে নির্যাতিত ও মানবাধিকার বঞ্চিত।
চার. জামায়াত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে।
পাঁচ. ইসলামি শক্তি হলেও জামায়াত তালেবানের মতো পিছিয়ে পড়া নয়, বরং প্রগতিশীলই বলা যায়।
সেই মার্কিন কূটনীতিক আরও বলেন, ‘যে দেশের ৮০-৮৫ শতাংশ মানুষ মুসলমান, সেখানে জামায়াত যদি সরকারে আসে ক্ষতি কী? তারা শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। তাদেরও উচিত এক বার সুযোগ পাওয়া। কী আছে, ফেল করলে মানুষ সরিয়ে দেবেন!’
তবে মার্কিন এই কূটনীতিক নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে চাইছেন না। ভারতীয় গণমাধ্যম সাবেক এই কূটনীতিকের বক্তব্যটিকেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হিসেবে প্রকাশ করেছে।

-67821bf9daab4-68ac307287f1a-68d5048b9ee62.jpg)