লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সিইসির বক্তব্যের জবাবে যা বলল জাতীয় পার্টি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন— ‘জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের দাবিদার একাধিক, মালিক কে তা খুঁজে পাচ্ছি না’।
সিইসির এ বক্তব্যকে জাতীয় পার্টি শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
একই সঙ্গে তারা বলেন, আইন ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান নেতৃত্বই জাতীয় পার্টির একমাত্র বৈধ নেতৃত্ব এবং লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র দাবিদার বলে জানিয়েছেন।
এদিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় পার্টির এই দুই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন, গণমাধ্যম এবং জনগণের সামনে স্পষ্ট করতে চাই যে, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র এবং Representation of the People Order (RPO) অনুযায়ী সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত কাউন্সিলে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আইন ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই নেতৃত্বই জাতীয় পার্টির একমাত্র বৈধ নেতৃত্ব এবং লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র দাবিদার।
তারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু পক্ষ ভিন্ন ভিন্ন আবেদন জমা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির আবেদনে নয়, কেবল দলীয় গঠনতান্ত্রিক নেতৃত্বের বৈধ আবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন বরাদ্দ দিতে পারে। অতীতেও নির্বাচন কমিশন একই নীতি অনুসরণ করেছে এবং এবারও আইন, সংবিধান ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক হলো দলের ঐতিহ্য, জনগণের আস্থা এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতীক। এ প্রতীক কেবল বৈধ নেতৃত্বকেই দেওয়া উচিত। বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী আবেদনগুলো সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
দুই নেতা বলেন, জাতীয় পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও আইন মেনে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং বৈধ নেতৃত্বকে লাঙ্গল প্রতীকের স্বীকৃতি দেবে। জনগণের আস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষায় এটিই হবে একমাত্র ন্যায়সংগত পদক্ষেপ।

