কুমিল্লা-৫ আসন ঘিরে অনিশ্চয়তা
মিত্রদের প্রার্থী-তালিকা দেওয়ার তাগিদ বিএনপির
ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কাজ দ্রুত শেষ করতে চায় বিএনপি। এজন্য শরিক দলগুলোর কাছে ইতোমধ্যেই মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে দলটি।
দলীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। নেতাদের মতে, প্রার্থীতা নিয়ে অনিশ্চয়তা যত দ্রুত কেটে যাবে, শরিকরা তত দ্রুত মাঠে নামতে পারবে।
বিএনপি এখন ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। কোথাও কোথাও মৌখিকভাবে প্রার্থীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে সেই তালিকা শরিকদের আসন ছাড়ার শর্তে পরিবর্তনও হতে পারে। আলোচনায় উঠে এসেছে, শরিকদের জন্য প্রায় ৫০-৬০ আসন ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদ এক হলে তারা বড় শরিক হিসেবে অগ্রাধিকার পেতে পারে। কয়েকটি শরিক দল ইতোমধ্যেই মৌখিক নির্দেশনা পেয়েছে প্রার্থী তালিকা জমা দিতে।
কুমিল্লা-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী কে?
কুমিল্লা-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন এটিএম মিজানুর রহমান, যিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সক্রিয়। তিনি বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার হয়েই কাজ করব।
এছাড়া হাজি জসিম উদ্দিনও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও তাকে ঘিরে নতুন বিতর্ক উঠছে। একই আসনে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান মজু, এস এম আলাউদ্দীন ভুইয়া এবং জামায়াতের ড. মোবারক হোসেনও সক্রিয়ভাবে মাঠে আছেন।
অন্যদিকে, একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী। শরিক দলের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আপাতত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই প্রচারণা চালাচ্ছি। নির্বাচন আদৌ হবে কি না—হলে তখনকার পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব।
বিশ্লেষকদের মত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি ও শরিকরা যদি আসন সমঝোতা দ্রুত চূড়ান্ত করতে না পারে, তবে কুমিল্লা-৫ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। এর প্রভাব শেষ পর্যন্ত পড়তে পারে ভোটের।


