তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার নিয়ে যা বললেন মির্জা গালিব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১২ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মির্জা গালিব। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে আগামী নির্বাচনে দলের কৌশল, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও তাদের নেতাকর্মীদের বিচার, বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রীক রাজনীতিসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেছেন তিনি।
তার এই সাক্ষাৎকার আগ্রহ সহকারে দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মির্জা গালিব। সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ মন ছুঁয়ে গেছে তার, আবার কিছু বিষয় নিয়ে তারেক রহমান আরেকটু খোলামেলা কথা বলবেন বলে আশা করেছিলেন–সোমবার (৬ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে এমনটাই লিখেছেন তিনি।
মির্জা গালিব তারেক রহমানের কথা বোলার ভঙ্গি, শব্দচয়ন অ্যাটিচ্যুডের প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ফার্স্ট পারসনের অনুপস্থিতি। আমি, আমার দল, আমার দেশ— এর পরিবর্তে বহুবার জনগণ, দেশ— এই রকম শব্দচয়ন করেছেন।’
আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যাপারে তারেক রহমানের স্পষ্টবাদী অবস্থানেরও প্রশংসা করেছেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক, ‘আওয়ামী লীগের সময়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি এবং তার পরিবার যে জুলুমের মধ্য দিয়ে গেছেন, ইমোশনালি সেটা টাচ করেছেন এই ইন্টারভিউতে। এবং এই জুলুমকে আরও আরও মানুষের অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়েছেন — এই অংশটুকু অসাধারণ ছিল। আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যাপারে বেশ স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন।’
তবে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্ন তারেক রহমান কিছুটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে মনে হয়েছে মির্জা গালিবের কাছে, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো স্পষ্ট অবস্থান না নিয়ে জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছেন — এটা এক ধরনের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মত অবস্থান। (এই দুই প্রশ্নে জামায়াতের অবস্থানও অনেক ক্ষেত্রে নমনীয় ছিল। অতীতে জামায়াতের আমীরের আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট না বলা এবং নিষিদ্ধের ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান না থাকার অবস্থানেরও আমি সমালোচনা করেছি)।’
এছাড়া বিএনপির সাংগঠনিক সংস্কার প্রশ্নে তারেক রহমানের অবস্থান স্পষ্ট নয় উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিকে দল হিসেবে গুছানোটা যে প্রায়োরিটি হওয়া উচিত — এটা তার বক্তব্যে খুব স্পষ্ট হয়নি। বরং সরকারে এলে আইনশৃঙ্খলার জায়গা থেকে এই সমস্যা সমাধানে বিএনপি বেশি আগ্রহী — এমনটাই মনে হয়েছে আমার কাছে। আমার অবজারভেশন এই ক্ষেত্রে ভিন্ন। অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মধ্য দিয়ে দল হিসেবে গোছানো এবং শক্তিশালী না হতে পারলে সুশাসন দেওয়া বিএনপির জন্য কঠিন হয়ে উঠবে।’

