Logo
Logo
×

রাজনীতি

ঢাকা-৭ আসন: প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর ভোটের মাঠ

মো. জহিরুল ইসলাম

মো. জহিরুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ পিএম

ঢাকা-৭ আসন: প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর ভোটের মাঠ

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পুরান ঢাকার ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনে নির্বাচনী আমেজ বইছে। রাত-দিন প্রার্থীদের পদচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ। এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে অন্তত ৮জন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন করে মোট ১০ জন প্রার্থী মাঠে সক্রিয় রয়েছে। প্রার্থীদের নিয়ে ভোটাররাও নানা হিসাব-নিকাশ কষছে। 

সরেজমিনে এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে গত দুই মাস ধরে ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও জনসংযোগ করছেন প্রার্থীরা। নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে। 

গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। এই তালিকায় বাদ পড়েছে ঢাকা-৭ আসন। আসনটিতে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হামিদুর রহমান হামিদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ২৪ নং ওয়ার্ড সাবেক কমিশনার ও বিএনপি নেতা মো. মোশাররফ হোসেন খোকন, অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসিমা আক্তার কল্পনা, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম রাসেল আলোচনায় রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ এনায়েত উল্লাহ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান দলীয় একক প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দল থেকে এত বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশীর ভিড়ে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্ধারণে ‘ত্যাগী, সৎ ও জনসম্পৃক্ত’ নেতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিগত বছরগুলোতে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেয়া এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলা নেতাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তে মনোনয়ন চুড়ান্ত হবে। তাছাড়া আসনটি সমঝোতার ভিত্তিতে শরিকদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তও আসতে পারে বলে জানান তারা। 

ভোটাররা বলছে, আসনটিতে বিগত ৩ বার আওয়ামী লীগের হাজী সেলিম সংসদ সদস্য ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও হাজী সেলিমের বড় ছেলে সোলায়মান সেলিম ডামি ভোটে নির্বাচিত হন। তাছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন। আসনটিতে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাসির উদ্দিন পিন্টু বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন। ২০ বছর পর আগামী ত্রয়োদশ সংসদীয় আসনটি আবার বিএনপি উদ্ধার করতে পারবে কিনা, এমন আলোচনা চলছে সবখানে। 

বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ হামিদুর রহমান হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হামিদুর রহমান হামিদ যুগান্তরকে বলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি যদি আমাকে মনোনীত করে, তাহলে পুরান ঢাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তাঘাট সংস্কার, মাদক নির্মূল, তীব্র গ্যাস সংকট নিরসন, অপ্রশস্ত গলি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কারসহ এলাকার সার্বিক উন্নয়নে একসাথে কাজ করব। মনোনয়ন না পেলেও দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করব।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির যুববিষয়ক সহ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী সরকারের আমলে এখানকার জনপ্রতিনিধিরা নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। দীর্ঘদিন বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। দেশনায়ক তারেক রহমান যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন, তাহলে আমি ঢাকা-৭ আসন বিএনপিকে উপহার দিতে চাই।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ এনায়েত উল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হাফেজ এনায়েত উল্লাহ বলেন, ঢাকা-৭ আসনে সমস্যার অন্ত নেই। নির্বাচিত হলে সমস্যাগুলোর সমাধানের স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সাহায্যে সমস্যা সমাধান করবেন। তবে তার নির্বাচনী ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনকল্যাণমূলক রাজনীতি করে। জনগণের প্রতিটি পয়সা আমাদের কাছে আমানত। ৫৪ বছরের মানুষ অনেক নেতা দেখেছে। কারো দ্বারা সত্যিকার অর্থে সমাজে ন্যায় বিচারের প্রতিষ্ঠা ও জুলুম বন্ধ হয়নি।  এবারও জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। অতীতে মানুষ তার ইচ্ছামতো ভোট দিতে  না পারলেও এখন স্বাধীনভাবে ভোট দেয়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে ইসলামপুর, চকবাজার, নয়াবাজার, ইসলামবাগ, সদরঘাটসহ পুরান ঢাকার ব্যবসা-কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা বন্ধ করব ইনশাল্লাহ। আমাদের কাছে জনগণের একটি টাকাও আমানত হিসেবে এলে, তা সঠিকভাবে বণ্টন করা হবে। আমাদের দ্বারা কখনোই আমানতের খেয়ানত হবে না। 

অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন পিন্টুর ভাই রিয়াজ উদ্দিন মনি বলেন, আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। আমাদের পরিবারই দলীয় মনোনয়নের হকদার। আশাকরি দল আমাদের ত্যাগকে মূল্যায়ন করবে। 

রিয়াজ উদ্দিন মনি। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও  সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম রাসেল বলেন, আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দলের দুর্দিনে সকল কর্মসূচি অংশ নিয়েছি। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের মধ্যেও দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিলে আমি ঢাকা ৭ আসন উপহার দিতে পারব।

বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম রাসেল। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শহীদ নাসির উদ্দিন পিন্টুর সহধর্মিণী নাসিমা আক্তার কল্পনা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, গণসংযোগের শুরু থেকেই ভোটারদের কাছ থেকে অসাধারণ সাড়া পাচ্ছি। এই এলাকাটি আমার স্বামী, শহীদ নাসির উদ্দিন পিন্টুর রাজনীতির ক্ষেত্র ছিল। তিনি ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তার নেতৃত্বে এই আসনের থানা ও ওয়ার্ডগুলোতে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছিল। আমি এখন তার অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণ ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার লক্ষ্যে প্রার্থী হয়েছি। দীর্ঘদিনের দমন-নিপীড়নের পর আমরা ৫ আগস্টের পর ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর অভিযাত্রা শুরু করেছি। আগামীতে এই নতুন বাংলাদেশের অংশ হিসেবে ঢাকা-৭ আসনকে একটি আধুনিক ও মডেল নগরীতে পরিণত করতে চাই। বিএনপি নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। আমি আশা করি, দলের হাইকমান্ড আমার এই ত্যাগ, অভিজ্ঞতা ও একটি শহীদ পরিবারের মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে আমাকে ঢাকা-৭ আসনে মনোনয়ন দেবে, যাতে আমি জনগণের সেবা ও শহীদ নাসির উদ্দিন পিন্টুর স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাই।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসিমা আক্তার কল্পনা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন চেয়ারম্যান বলেন,দীর্ঘদিনের দমন-পীড়ন ও মিথ্যা মামলার মধ্যেও আমরা বিএনপির পতাকা উঁচিয়ে রেখেছি। এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমি একজন সৎ, যোগ্য ও পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে ঢাকা-৭ আসনে প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়ে জনগণের সেবা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন চেয়ারম্যান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন খোকন বলেন, ইনশাআল্লাহ, গণসংযোগের শুরু থেকেই ভোটারদের দারুণ সাড়া পাচ্ছি। দীর্ঘ ২০ বছর কাউন্সিলর হিসেবে জনগণের সেবা করেছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান যদি আমাকে ঢাকা-৭ আসনে মনোনয়ন দেন, তাহলে পুরান ঢাকাকে আধুনিক নাগরিক সুবিধাসম্পন্ন একটি মডেল এলাকায় রূপ দেব। তবে আমি দলের কর্মী— দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব, ইনশাআল্লাহ।

বিএনপি নেতা মোঃ মোশাররফ হোসেন খোকন। ছবি: সংগৃহীত

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে প্রায় ৩ শতাধিক মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও জনগণের পাশে ছিলাম। ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশের পথে আমরা এগিয়ে চলেছি।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে পুরান ঢাকার সাধারণ জনগণের সঙ্গে মিশে থাকা একজন ত্যাগী কর্মী হিসেবে আমি ঢাকা-৭ আসনকে আধুনিক, উন্নত ও মডেল এলাকায় রূপ দিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করব।

বিএনপির নীতি নির্ধারকরা জানান, ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে মিত্র অনেকগুলো দল অংশগ্রহণ করেছে। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী এবং মিত্রদের সমন্বয় নিয়ে আলোচনা চলছে।

এখন পর্যন্ত বিএনপি ২৩৭টি আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে ৬৩টি আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই বাকি আসনগুলো মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ছাড় দেওয়া হতে পারে। ঢাকাসহ সারা দেশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসন রয়েছে, যেখানে খালি আসনগুলো মিত্রদের জন্য ছাড় দেওয়া হবে।

বিএনপির নীতি নির্ধারকরা জানান, আলোচনা যদি পজিটিভ না হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে ওই আসনগুলোতে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম