ভূমিকম্পে দেশ কবরস্থান হওয়া এড়াতে জরুরি কাঠামোগত সংস্কারের আহ্বান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এবং অপরিকল্পিত নগরায়নের শিকার বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ভূ-কম্পনগুলোকে আসন্ন ‘মহাবিপর্যয়ের’ চরম সতর্কবার্তা গণ্য করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। দলটির দাবি, উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে দেশের কবরস্থানে পরিণত হওয়া এড়াতে কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি আজ শুক্রবার সংঘটিত বিধ্বংসী ভূমিকম্পে হতাহতের খবরে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডিতে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এ বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরা এবং পুনর্বাসনের আশা করছি।
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক বিবৃতিতে ভূমিকম্প ঝুঁকির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, আজকের ভূমিকম্পে জনমনে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তা অমূলক নয়। এম্নিতেই ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ জোনে অবস্থিত। তার ওপর অপরিকল্পিতভাবে আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আবাসন খাতের মাফিয়া এবং সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জলাশয় ভরাট করে রাজধানীসহ বড় শহরগুলো কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত করা হয়েছে। এ অবস্থায় শহরগুলো বড় মাত্রার ভূমিকম্পে লাখো মানুষের কবরস্থানে পরিণত হতে পারে।
এ অবস্থায় তিনি রানা প্লাজা ট্রাজেডি বা বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডে জাতীয় উদ্ধার সক্ষমতার দৈন্যদশা বিবেচনায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের আলোকে দ্রুত ভূমিকম্প মোকবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের দাবি জানান।
খোমেনী ইহসান সরকারের কাছে পাঁচটি দাবি পেশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে—সারা দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে সংস্কার, ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা। এছাড়াও, ভূমিকম্প-পরবর্তী আশ্রয়ের জন্য তিনি প্রতিটি এলাকায় উন্মুক্ত স্থান নিশ্চিত করার এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে অগ্নিকাণ্ড রোধে অটো-শাটডাউন প্রযুক্তি চালু।
