প্রয়োজনে হারব, তবুও একাই নির্বাচন করব: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘৫শ’ না, আমি যদি দশ ভোটও পাই, তবুও এই দশজন ভোটারকে সঙ্গে নিয়ে দেবিদ্বারের জন্য কাজ করে যাব। তবুও জোট নয়, একাই নির্বাচন করব; প্রয়োজনে হারব।’
হাসনাত বলেন, মানুষ অনেক সময় মন্তব্য করেন—জোট না করলে নাকি আমি ৫শ’ ভোটও পাবো না। দেবিদ্বারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি সেই ৫শ’ ভোটের জন্যই।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নে পদযাত্রা শেষে একটি উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আরও বলেন, এলাকার কিছু মুরুব্বি কানে কানে জানতে চান, তিনি জোট করবেন কি না—কারণ তারা জোটের অপেক্ষায় আছেন। ‘তারা ব্যক্তিকে নয়, পার্টিকে পছন্দ করেন। আমরা বলেছি, যদি দশ ভোটও পাই আমরা একাই দাঁড়িয়ে থাকব,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, দেবিদ্বারের শিক্ষিত যুবক ও শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং সবাই তার পাশে রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার ফাঁকে গ্রামে এসে তার সঙ্গে জনসংযোগ করছেন।
তার মতে, ‘যারা তরুণ, যাদের বিবেক বন্ধক দেওয়া নেই, তারা শাপলা কলিতে আছে। নারীদের অনেকেই শাপলা কলিতে যোগ দিচ্ছেন, তাদের স্বামীরাও যোগ দেবেন। আমার এ নির্বাচনে কোনো টাকা লাগবে না, এজেন্ট লাগবে না। যারা ভোট দিতে আসবে, তারাই আমার এজেন্ট, আমার ভোটের পাহারাদার।’
প্রবাসীদের বিভিন্ন হয়রানি প্রতিরোধ এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন প্রবাসীর পাসপোর্ট করার সময় থেকে হয়রানি শুরু হয়। বিদেশ গিয়ে বেতন পাওয়া পর্যন্ত এ হয়রানি চলতেই থাকে। যারা ভাষা না শিখে বিদেশে যায়, তারা পদে পদে হয়রানির শিকার হয়।’
তিনি আরও জানান, নির্বাচিত হলে দেবিদ্বারে একটি ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে, যেখানে প্রবাসীরা ভাষা শিখতে পারবেন। একই সঙ্গে বিদেশগামী কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে আরেকটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেন।

