Logo
Logo
×

রাজনীতি

‘টাকা বা পেশীশক্তি নয়, জনগণের অংশগ্রহণই বড় শক্তি’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২২ এএম

‘টাকা বা পেশীশক্তি নয়, জনগণের অংশগ্রহণই বড় শক্তি’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। ছবি: সংগৃহীত

নিজের নির্বাচনি ক্যাম্পেইনে স্বেচ্ছাসেবী হতে আগ্রহীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। একই সঙ্গে, মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হতে আগ্রহ দেখিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব তথ্য জানান।

আগ্রহীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তাসনিম জারা বলেন, এটা প্রমাণ যে মানুষ নতুন ধরণের রাজনীতির জন্য প্রস্তুত। যেখানে টাকা বা পেশীশক্তি নয়, জনগণের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বড় শক্তি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম এক হাজার জনকে আমরা আমাদের টিমে যুক্ত করব। ধাপে ধাপে তাদের রোল, দায়িত্ব ও প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো জানাব। এরপর রোলিং বেসিসে এক হাজার করে নতুন ব্যাচ যুক্ত করা করব।

মাঠে থাকছি আমরা, শুরু করছি সবুজবাগ থেকে। দেখা হবে।  

উল্লেখ্য যে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৯ (খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা, মান্ডা) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। তিনি এ আসনের জন্য ক্যাম্পেইনে দেশের যে কোনো জায়গার বাসিন্দা ও প্রবাসীদের সাহায্য চেয়েছেন। 

এর আগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, আমাদের দেশে নির্বাচনে একজন প্রার্থী আইনগতভাবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখি প্রায় কেউই এই আইন মানেন না। শোনা যায়, একজন প্রার্থী ২০, ৫০, এমনকি ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে বলেন মাত্র ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে প্রায় সকলেরই সংসদে যাওয়ার যাত্রাটাই শুরু হয় আইন ভাঙা ও মিথ্যা বলার মাধ্যমে। 

তাসনিম জারা লেখেন, আমি এই অসততা ও মিথ্যার রাজনীতি করব না। আমি এনসিপি থেকে ঢাকা-৯ আসনে মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছি এবং আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, আইনে অনুমোদিত টাকার বাইরে আমি এক টাকাও খরচ করব না। অনেকে বলেছেন, এত অল্প বাজেটে নির্বাচন করা অসম্ভব। আমি তাদের বলেছি, আমরা প্রমাণ করব এটা সম্ভব। শুধু নির্বাচনের পর নয়, নির্বাচনের আগেই নিয়মিত জানাব কত টাকা পেয়েছি এবং কত টাকা খরচ করেছি। সবকিছু করব স্বচ্ছভাবে।

তিনি লেখেন, আমরা একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করব যে সততার সাথে, অর্থ আর পেশিশক্তির বৃত্তের বাইরে এসে নির্বাচন করা যায়। তবে এই পথচলায় আপনাদের সাহায্য প্রয়োজন। যে কাজগুলো অন্য প্রার্থীরা টাকা দিয়ে করান, আমাদের সেগুলো করতে হবে আপনাদের সময়, শ্রম ও অংশগ্রহণ দিয়ে। স্বেচ্ছাসেবক টিম গড়ার মাধ্যমে। 

এনসিপির এই নেত্রী বলেন, আপনি ঢাকা-৯ (খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা, মান্ডা), দেশের অন্য যেকোনো জায়গা বা প্রবাসী হোন, আপনি এই ক্যাম্পেইনে সাহায্য করতে পারবেন। সাহায্য করার অসংখ্য উপায় আছে। এজন্য আমরা একটি ছোট ফরম তৈরি করেছি। সেখানে জানাতে পারবেন আপনি কীভাবে সাহায্য করতে চান।

তার ব্যতিক্রমী সাহায্যের মধ্যে রয়েছে–

–কেউ গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারেন।

–কেউ ভিডিও শুট বা এডিট করতে পারেন।

–কেউ উঠান বৈঠকের আয়োজন করতে পারেন।

–কেউ ফান্ড সংগ্রহে সাহায্য করতে পারেন।

–কেউ আমাদের সাথে বাসায় বাসায় গিয়ে মানুষের কাছে আমাদের মেসেজ পৌঁছে দিতে পারেন।

–আরও অনেক ভূমিকা আছে। আবার আপনি নিজেও জানাতে পারেন যে কীভাবে সাহায্য করতে চান।

তাসনিম জারা লেখেন, আমি চাই এবারের নির্বাচন হোক আপনাদের নিজেদের নির্বাচন। আমরা একসঙ্গে টিম গড়ব, প্রশিক্ষণ দেব এবং ধাপে ধাপে সবাইকে যুক্ত করব। সততা দিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব, সেটা আমরা একসাথে প্রমাণ করব।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যদি রাজনীতি দুর্নীতি, পেশিশক্তি আর মিথ্যার বৃত্ত থেকে বের হয়ে সত্যিকারের জনগণের হাতে ফিরে আসে, তাহলে সম্ভাবনা সীমাহীন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম