১২২ আসনে ১৩২ প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয় পার্টি (একাংশ) ও জেপির নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’ ১২২টি সংসদীয় আসনে ১৩২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে কিছু আসনে একাধিক প্রার্থী ঘোষণা করে জোটটি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনের বলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু।
৯ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির একাংশ ও জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) জোট হয়।জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন অংশ দুটিসহ মোট ১৮টি দল রয়েছে এই জোটে।
এনডিএফের শরিক দলগুলো হলো জাতীয় পার্টির (জাপা) আনিসুল ইসলামী নেতৃত্বাধীন অংশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি), জনতা পার্টি বাংলাদেশ, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (মহসিন রশিদ), জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টি, অ্যালায়েন্স ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাতীয় সাংস্কৃতিক জোট, জাসদ (শাহজাহান সিরাজ), ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি ও গণ আন্দোলন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও ফ্রন্টের মুখপাত্র এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘সারা দেশে মব সন্ত্রাস চলছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা ও বরেণ্য সাংবাদিক—কেউই এর বাইরে নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগ, বরেণ্য সাংবাদিক নুরুল কবিরকে নাজেহাল, ময়মনসিংহে প্রকাশ্যে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা, লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে তার শিশু কন্যাকে হত্যা, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ও ছায়ানটে ভাঙচুর, উদীচী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলার অপচেষ্টা এবং খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনা—সবকিছুই দেশের ভয়াবহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।’
হাওলাদার বলেন, ‘দেশ এখন অনিরাপদ ও অগ্নিগর্ভ। এমন পরিস্থিতিতে সরকার কীভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেবে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও হেভিওয়েট প্রার্থী
জোটের ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—
- আনিসুল ইসলাম মাহমুদ: চট্টগ্রাম-৫ (চেয়ারম্যান, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট)
- আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: পিরোজপুর-২ (চেয়ারম্যান, জেপি)
- এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার: পটুয়াখালী-১ (মহাসচিব, জাতীয় পার্টি)
- অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ: ঢাকা-১০ (সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান, জাপা)
- অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু: কিশোরগঞ্জ-৩ (নির্বাহী চেয়ারম্যান, জাপা)
- শেখ শহিদুল ইসলাম: মাদারীপুর-৩ (মহাসচিব, জেপি)
- গোলাম সারোয়ার মিলন: মানিকগঞ্জ-২ (প্রধান সমন্বয়ক, ফ্রন্ট)
- শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর: ফরিদপুর-২ (সাবেক এমপি)
- নাসরিন জাহান রতনা: বরিশাল-৬ (সাবেক এমপি)
- শফিকুল ইসলাম সেন্টু: ঢাকা-১৩ (জাপা নেতা)
- লিয়াকত হোসেন খোকা: নারায়ণগঞ্জ-৩ (সাবেক এমপি)
জাতীয় পার্টির অন্যান্য প্রার্থী
জোটের প্রার্থী তালিকায় জাতীয় পার্টির আরও যেসব প্রার্থীর নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
- নুরুল ইসলাম মিলন: কুমিল্লা-৮ (সাবেক এমপি)
- নুরুল ইসলাম ওমর: বগুড়া-৬ (সাবেক এমপি)
- ইয়াহ ইয়া চৌধুরী: সিলেট-২ (সাবেক এমপি)
- মেজর (অবঃ) রানা মোহাম্মদ সোহেল: নীলফামারী-৩ (সাবেক এমপি)
- পনির উদ্দিন আহম্মেদ: কুড়িগ্রাম-২ (সাবেক এমপি)
- নাজমা আক্তার: ফেনী-১ (সাবেক এমপি)
- সিরাজুল ইসলাম চৌধরী: চট্টগ্রাম-১২ (সাবেক এমপি)
- মো. নজরুল ইসলাম: চট্টগ্রাম-৭ (সাবেক এমপি)
- অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম চাকলাদার: টাঙ্গাইল-৫
- ইঞ্জিনিয়ার মামুন অর রশীদ: জামালপুর-৪ (সাবেক এমপি)
- সোলায়মান আলম শেঠ: চট্টগ্রাম-৯
- তপু রায়হান: ঢাকা-১৭ (জহির রায়হানের পুত্র)
- মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া: নেত্রকোনা-৩
- সরদার শাহজাহান: পাবনা-১
- মোবাবর হোসেন আজাদ: নোয়াখালী-৪
- ফকরুল আহসান শাহজাদা: বরিশাল-৩
- মো. বেলাল হোসেন: লক্ষীপুর-১
- আমানত হোসেন আমানত: ঢাকা-১৬
- জাহাঙ্গীর আলম পাঠান: ঢাকা-১৪
- শাহ জামাল রানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩
- মাতলুব হোসেন লিয়ন: সাতক্ষীরা-২
- মো. ইলিইয়াস উদ্দিন: শেরপুর-১
- মো. রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী: ঠাকুরগাঁও-১
- রাশেদুল ইসলাম: নীলফামারী-৪
- নিগার সুলতানা রানী: লালমনিরহাট-২
- শফিকুল ইসলাম বাদশাহ মিয়া: গাইবান্ধা-১
- বরুন সরকার: রাজশাহী-১
- অধ্যাপক কামরুজ্জামান: রাজশাহী-৩
- তরিকুল ইসলাম স্বাধীন: পাবনা-৬
- সুমন ঘোষ: মাগুরা-১
- আলমগীর সিকদার: মাগুরা-২
- এস এম আল যোবায়ের: বাগেরহাট-১
- মাইনুল হাসান রাসেল: বরগুনা-১
- মো. মহসিন হাওলাদার: পটুয়াখালী-২
- মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার: পটুয়াখালী-৪
- গাজী সোহেব কবির: বরিশাল-৪
- এম এ কুদ্দুস খান: ঝালকাঠি-২
- ডা: সেলিমা খান: ঝালকাঠি-১
- সেকান্দার আলী মুকুল বাদশা: পিরোজপুর-৩
- ইদি আমিন এপোলো: ঢাকা-৯
- এস এম আমিনুল হক সেলিম: ঢাকা-১১
- হাজী নাসির উদ্দিন সরকার: ঢাকা-১২
- অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদ: শরীয়তপুর-১
- জাহাঙ্গীর আহমেদ: ময়মনসিংহ-৪
- জাফর আহমেদ রাজু: ফেনী-২
- মো. শামসুল আলম: কক্সবাজার-১
- অ্যাডভোকেট মো. তারেক: কক্সবাজার-৩
- শেখ মোহাম্মদ আলী: ঢাকা-১৮
জেপি ও অন্যান্য শরিক দলের প্রার্থী
জোটের শরিক দলগুলোর প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন— সালাহ উদ্দিন মাহমুদ (কক্সবাজার), মো. রুহুল আমিন (কুড়িগ্রাম-৪), মো. আসাদুজ্জামান (ঠাকুরগাঁও-৩), শওকত মাহমুদ (কুমিল্লা-৫), গোলাম মোর্শেদ রনি (নারায়ণগঞ্জ-৪), কে এম জাহাঙ্গীর (ঝিনাইদহ-২), দীপক কুমার পালিত (চট্টগ্রাম-৯), টি এম জহিরুল হক তুহিন (বরিশাল-৬), শাহ জামিল আমিরুল (মেহেরপুর-২), মির্জা আজম (খুলনা-১), ডাক্তার মুনির হোসেন (চাঁদপুর-৩)সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
