আলিঙ্গনে তারেক রহমানকে বরণ জ্যেষ্ঠ নেতাদের, এ এক আবেগঘন মুহূর্ত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম
সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কোলাকুলি তারেক রহমানের। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেড় যুগের বেশি সময় নির্বাসিত জীবন পেরিয়ে দেশে ফেরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিমানবন্দরে আলিঙ্গনে-করমর্দনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি বিমানবন্দরে অবতরণের পর দলের সিনিয়র নেতারা স্বাগত জানান।এ সময় সবার সঙ্গে আলিঙ্গন করেন তারেক রহমান। প্রিয় নেতাকে পেয়ে সিনিয়র নেতারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ এক অন্যরকম অনুভূতি তাদের কাছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু) ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন ৬০ বছর বয়সি তারেক রহমান। ২০০৯ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। ২০১৮ সালে তার মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। তখন থেকেই তিনি বিদেশ থেকে দল পরিচালনা করছেন, ভার্চুয়ালি সভা ও সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। লন্ডন থেকে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি গণমানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেফতার করা হয় তারেক রহমানকে। ১৮ মাস কারাগারে থাকার সময় অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তারেক রহমান। এক সপ্তাহ পরে, ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে পরিবারের সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি।
প্রবাসে থাকা অবস্থাতেই ২০১৫ সালে ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে হারিয়েছেন। তার জানাজায়ও শরিক হওয়ার সুযোগ পাননি। মায়ের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত ছিলেন দীর্ঘদিন।

