ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণসংবর্ধনায় বক্তব্য দেওয়ার সময় মায়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট সড়ক) সংলগ্ন বিশাল গণসংবর্ধনার মঞ্চে লাখো নেতাকর্মী, সমর্থক ও জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দেন তিনি।
বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হয়েছে— তা সবাই প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিরাপদ রাখতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার। পাহাড় ও সমতল— সব অঞ্চলের মানুষ এ দেশে বাস করে; হিন্দু-বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষের বসবাস এখানে। তরুণ, নারী-পুরুষ ও কৃষক— সবারই রাষ্ট্রের কাছে প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তবে সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব। ১৯৭১ সালে শহীদরা যে দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, গত ১৫ বছরে মা-বোন ও তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন— ওসমান হাদিসহ যারা শহীদ হয়েছেন— তাদের প্রত্যাশিত দেশ গড়া সম্ভব। এ জন্য ধৈর্য ধরতে হবে এবং বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া— আপনাদের দোয়ায় প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে লাখো মানুষের জীবনের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদ থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। আর ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতা, গৃহবধূ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। মানুষের কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশার কথাও তিনি তুলে ধরেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘বিজি ২০২’ ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ অতিক্রম করে দেশের মাটি ছুঁয়ে তিনি মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেন।
তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।
বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তায় বুলেটপ্রুফ বাসে করে তিনি ৩০০ ফিট সড়ক সংলগ্ন গণসংবর্ধনার মঞ্চে পৌঁছান। এ সময় রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লাখো নেতাকর্মীর ভালোবাসা ও জনতার উত্তাল অভ্যর্থনায় সিক্ত হন তিনি।
