শিবিরের সম্মেলন শুক্রবার, কে হচ্ছেন পরবর্তী সভাপতি?
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন–২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়েই সংগঠনটির ২০২৬ মেয়াদের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় সংগঠনের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম আর শিবিরের রাজনীতিতে থাকতে আগ্রহী নন। সে কারণে চলতি বছরই দায়িত্ব থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সারা দেশ থেকে আসা কয়েক হাজার সদস্যের সরাসরি ও গোপন ভোটে নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত সভাপতি পরবর্তীতে একজনকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনীত করবেন। এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি পদে একাধিক নেতার নাম জোরালোভাবে আলোচনায় রয়েছে।
শীর্ষ পদটির দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সংগঠনের বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সিবগাতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ এবং কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম।
তবে সংগঠনটির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে সাধারণত সেক্রেটারি জেনারেলই পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পান। এই ধারার ব্যতিক্রম সংগঠনটির ইতিহাসে খুব একটা দেখা যায়নি।
সে হিসেবে বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দামই দলটির নতুন কাণ্ডারি হওয়ার সম্ভাবনায় এগিয়ে রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় থাকা বাকি নেতাদের মধ্যে সিবগাতুল্লাহ, আজিজুর রহমান আজাদ ও সাদিক কায়েমের মধ্য থেকে একজনকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনীত করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, আলোচনায় থাকা নেতাদের মধ্য থেকেই সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। একই সঙ্গে যিনি সভাপতি নির্বাচিত হবেন, তিনি ব্যতিক্রম না হলে আলোচনায় থাকা অন্য নেতাদের মধ্য থেকেই একজনকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনয়ন দেবেন।
নেতাদের মতে, ২০২৫ সালের এই কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন ছাত্রশিবিরের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে এসেছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় তরুণ ভোটারদের একটি বড় অংশকে আকৃষ্ট করতে মেধাবী, কৌশলী ও সময়োপযোগী নেতৃত্ব প্রয়োজন।
পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় ছাত্র রাজনীতির নতুন ধারায় নিজেদের অবস্থান সুসংহত করাও নবনির্বাচিত কমিটির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে বলে মনে করছেন সংগঠনের সংশ্লিষ্টরা।
