ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার হচ্ছেন তারেক রহমান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় পর নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হাতে পেতে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় রাজধানীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি নিজের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ প্রদান করেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশের নাগরিক হিসেবে তার ডিজিটাল নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।
এর আগে ঢাকা ১৭ আসনের গুলশান এলাকার ডিএনসিসি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন তারেক রহমান। একই ওয়ার্ডে ভোটার হতে আবেদন করেছেন তার কন্যা জাইমা রহমান।
এনআইডি মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের জানান, তারেক রহমান আগেই অনলাইনে প্রাথমিক ফরম পূরণ করেছিলেন। আজ সশরীরে উপস্থিত হয়ে তিনি বায়োমেট্রিক তথ্য বা আঙুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান সম্পন্ন করেছেন। এখন থেকে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার এনআইডি নম্বর তৈরি হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের দেওয়া তথ্যগুলো এখন কেন্দ্রীয় সার্ভারে থাকা কোটি কোটি তথ্যের সঙ্গে যাচাই করে দেখা হবে। কোনো অমিল না থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস পাঠানো হবে। সেই লিংকে ক্লিক করে তিনি নিজেই নিজের এনআইডি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এছাড়া তিনি চাইলে নির্বাচন কমিশন থেকেও সরাসরি স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
তারেক রহমানের জন্মস্থান বগুড়া হলেও ভোটার হওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’-এর ঠিকানায় ভোটার হওয়ার আবেদন করেন।
২০০৮ সাল থেকে দীর্ঘ সময় প্রবাসে অবস্থানের কারণে তারেক রহমানের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে ভোটার হওয়া বাধ্যতামূলক।
যদিও পৈতৃক আসন বগুড়া-৬ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি ছিল, কৌশলগত কারণে তিনি ঢাকার অভিজাত এই আসনের ভোটার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এনআইডি পাওয়ার মাধ্যমে তার পাসপোর্ট নবায়ন থেকে শুরু করে নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পথ আরও সহজ হবে।


