এনসিপি কি সত্যিই জামায়াতের সঙ্গে জোট করছে, যা জানালেন আখতার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটের বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
তিনি বলেছেন, তবে আমাদের আন্দোলনের যে সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করার জন্য সমঝোতার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলমান রয়েছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার জজকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এদিন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে দায়ের করা দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন এনসিপির শীর্ষ এই নেতা।
আদালত প্রাঙ্গণে জামিন পাওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আখতার হোসেন বলেন, এই মামলাগুলো বিগত সরকারের সময়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। একটি মামলা ছিল মোদি বিরোধী আন্দোলন এবং অন্যটি আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচির দায়ে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেড় বছর সময় পার হয়ে গেলেও এই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো কেন নিষ্পত্তি করা হয়নি, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ তিনি।
এদিকে সার্বিক বিষয়ে অবস্থান জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আট দলীয় জোট। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্রে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক আট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও তিনটি রাজনৈতিক দল। দল তিনটি হচ্ছে এলডিপি, এবি পার্টি ও এনসিপি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বিকালে জরুরি সংবাদ আহ্বান করা হয়েছে আট দলের পক্ষ থেকে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একাধিকবার আলোচনা হয়। তবে চাওয়া–পাওয়া নিয়ে শেষ পর্যন্ত বোঝাপড়া হয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা যায় কি না, সে চেষ্টাও ছিল। তবে সেটা আর হয়ে ওঠেনি।
এরই মাঝে বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে আলাদা জোট গঠনের চিন্তা থেকে মধ্যপন্থী আলাদা জোট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই উদ্যোগে গণতন্ত্র মঞ্চকে যুক্ত করার প্রচেষ্টা ছিল। পরে কেবল এনসিপি, এবি পার্টি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ে জোট হয়। ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ নামে ৭ ডিসেম্বর এই ত্রিদলীয় জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
কিন্তু ভোটের রাজনীতির হিসাব–নিকাশ মেলাতে গিয়ে এনসিপি বড় দুই দলের কোনো একটির সঙ্গে আসন সমঝোতাকে গুরুত্ব দেয়। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা কমে আসার পর সম্প্রতি এনসিপি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়।
এদিকে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার বিষয়টি অনেকটাই চূড়ান্ত হওয়ার পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তাসনিম জারা। তিনি দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য ছিলেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দলটি থেকে পদত্যাগ করেন এনসিপিতে জামায়াতবিরোধী অংশের নেতা হিসেবে পরিচিত মীর আরশাদুল হক।
গতকাল সন্ধ্যায় দলের ৩০ জন নেতা এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে ‘সম্ভাব্য জোট বিষয়ে নীতিগত আপত্তি’ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
