ধর্মীয় উসকানি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:৪০ পিএম
ধর্মীয় উসকানি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ধর্মীয় উসকানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হয়েছে। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে এ জামিন আবেদন করা হয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন।
শুনানিতে মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি অন্য মামলায় কারাদপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। আশা করছি ওই মামলায় দ্রুত জামিন পেয়ে তিনি কারামুক্ত হবেন। কারামুক্তির উদ্দেশে আমরা এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করছি।
অপরদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন।
তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছেন। মামলাটি জামিন অযোগ্য ধরার।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশ পরে দেবে বলে জানান। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে আদালত আদেশ দেননি বলে জানা গেছে। তবে মঙ্গলবার আদালত এ আদেশ দেবেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার রাকীব চৌধুরী যুগান্তরকে জানিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ৩০ জুন এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মর্মে উল্লেখ করেন।
২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কটুক্তিপূর্ণ সমালোচনা করেন।
বক্তৃতার এক পর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরণের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’
ওই বক্তব্য দেয়ার জন্য ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে একটি নালিশি মামলা করা হয়। ওই দিনই আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য শাহবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে খালেদা জিয়া পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
