জরুরি চিকিৎসা ও সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান আল্লামা কাসেমীর
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২০, ০৪:৩৮ পিএম
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করোনা প্রাদুর্ভাব উত্তরণে জরুরি অবস্থা নয়, বরং জরুরি চিকিৎসা ও সেবা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন সমমনা ইসলামী রাজনৈতিক দলসমূহের মুখপাত্র ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস বিশ্বের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করার পর পর্যাপ্ত সময় পেয়েও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সরকার যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি এই সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও প্রস্তুতি গ্রহণে চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিপুল প্রবাসী দেশে প্রবেশ করেছে, কিন্তু বিমানবন্দরে যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ব্যাপক গাফিলতি চোখে পড়েছে। ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য পর্যাপ্ত কিট সংগ্রহ, অন্তত জেলা পর্যায়ে পরীক্ষাগার স্থাপন, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম, হাসপাতাল ও পরীক্ষাগারের মতো অবকাঠামোগুলোতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি দেখা যায়নি। কিছু মন্ত্রীর অসংলগ্ন কথা-বার্তায় একদিকে আত্মম্ভরিতার যেমন প্রকাশ ঘটেছে, অন্যদিকে সরকারের প্রস্তুতিহীনতা জনমনে আতঙ্ক ও আস্থাহীনতার জন্ম দিয়েছে।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হল, রাজনৈতিক ও সামাজিক সমঝোতা এবং মতৈক্যের মাধ্যমে সমন্বিত ও সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ। মানুষের জীবনরক্ষাকে প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হিসেবে গণ্য করে অন্যান্য উন্নয়নখাতে কাটছাট করে স্বাস্থ্যখাতে পর্যপ্ত বরাদ্দ বাড়িয়ে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টাস্কর্ফোস গঠন করে করোনা মহামারীতে জীবনহানির সংখ্যা কমাতে কার্যকর বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ।
আল্লামা কাসেমী করোনা দুর্যোগের এই সময়ে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন বিভক্তি নয়। বরং এই বিপদে আমাদের সবাইকে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিকতার জায়গায় দাঁড়াতে হবে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং সহযোগিতার সুযোগ আছে এমন ক্ষেত্রসমূহে সবাইকে দ্বিধাহীনভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সর্বসাধারণকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে অস্থির না হয়ে স্বাস্থ্যবিভাগ ঘোষিত বিধি পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে সচেষ্ট থাকতে হবে। সব সময় পাক-পবিত্র ও শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। পাপকর্ম ও অন্যায়কর্ম পরিহার করে খাঁটি মনে তওবা করে ইবাদত-বন্দেগীতে অধিক মনোনিবেশ করতে হবে এবং আগামীতে সৎ ও স্বচ্ছ জীবন-যাপনের অঙ্গীকার করে আল্লাহর সাহায্য কামনা করে দোয়া-মুনাজাতে শরীক থাকতে হবে।
