Logo
Logo
×

রাজনীতি

আড়াই লাখ বীরাঙ্গনার পরিচয় দিতে রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:৪২ পিএম

আড়াই লাখ বীরাঙ্গনার পরিচয় দিতে রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আড়াই লাখ বীরাঙ্গনার কথা বলা হয়। কিন্তু স্বীকৃতি পেয়েছেন মাত্র ৪১৬ জন। এর চেয়ে ন্যক্কারজনক আর কী হতে পারে। আড়াই লাখ বীরাঙ্গনা কেন ৪১৬ জন হলো? রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হবে আড়াই লাখ বীরাঙ্গনার হিসাব, নাম-পরিচয় দিতে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা জয়গুন নাহার খানমকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা দেওয়া হয়।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা যারা যুদ্ধ করেছি একবার, একাত্তরে আট-নয় মাস; কিন্তু বীরাঙ্গনা যারা আছেন তারা যুদ্ধ করেছেন বারবার। একাত্তরে যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধের পর যুদ্ধ করেছেন, এখনো যুদ্ধ করে যাচ্ছেন।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, বীরাঙ্গনাদের অবদানটা কোনো অংশে কম তো নয়ই, বরং অনেক বেশি। আমরা মুজিব শতবর্ষ পালন করছি, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি, এখন এই বীরাঙ্গনাদেরও সম্মান দিতে হবে। রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হবে আড়াই লাখ বীরাঙ্গনার হিসাব, নাম-পরিচয় দিতে।

অনুষ্ঠানে অশ্রুভেজা চোখে একাত্তরে নিজের ওপর ঘটে যাওয়া বীভৎস নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা জয়গুন নাহার খানম। এ সময় উপস্থিত অতিথিরাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, যুদ্ধ শেষে ফাল্গুনে জন্ম হয় তার মেয়ে নিমসানার। এরপর শুরু হয় নতুন যুদ্ধ। পরিবার, সমাজের নানা কটু কথা শুনে দিন পার করতে হয় মা-মেয়েকে। এভাবে ৫০টা বছর কেটেছে। পাননি কোনো রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা। এখন বৃদ্ধ বয়সে ভিক্ষা করে চলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

পরে জয়গুন নাহার খানমের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এরপর তার সম্মানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক বদরুল হকের সভাপতিত্বে ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার সভানেত্রী ফরিদা আখতার, নারীপক্ষের সদস্য লিপি লিলিয়ান রোজারিও, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের নিউরোসাইন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এমএইচ শাহরিয়ার সাবেত প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন- নারীপক্ষের সদস্য শিরিন হক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক জেবাহ্ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আক্রাম হোসেন, অধ্যাপক শওকত আরমান, ডা. মো. সঈদ-উজ-জমান (অপু), অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, ডা. শামীম মাওলা প্রমুখ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বীরাঙ্গনা মুক্তিযুদ্ধ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম