জনগণ আর আপনাদের প্রতিরোধ সহ্য করবে না: মির্জা আব্বাস
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বাংলার মানুষ যখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও ক্ষুধার জ্বালা মেটানোর জন্য, কথা বলার ও ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নামে তখন আপনারা প্রতিরোধের ডাক দেন। দেশের জনগণ আর আপনাদের এই প্রতিরোধ সহ্য করবে না। আপনাদের প্রতিরোধের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ হবে, কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গায়ে জ্বর এসে গেছে তাই আবোল-তাবোল কথা বলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিন বললেন বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুপ করে ফেলে দেওয়া হবে। আবার তারই ভাগ্নে ফজলে নুর তাপস প্রকাশ্যে বলেছেন তারা নাকি একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছেন। যে সমস্ত সুশীলরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন তাদের নাকি বস্তায় বন্দি করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। এগুলো হত্যার হুমকি নয়! কেন তাকে গ্রেফতার করা হয় না, কেন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় না। তাদের কথা বলার অধিকার আছে আমাদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ওপর তারা যেভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে যদি একটা একটা করে বলি তা বলে শেষ করা যাবে না। মনে পড়ে বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছিল। তার বিচার এখনো হয়নি।
তিনি বলেন, হত্যার রাজনীতি কারা করে। কারা ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে, কারা কমিশনার চৌধুরী আলমকে গুম করে হত্যা করেছে, কারা হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করেছে। আমাদের সারা দেশে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আপনারা কোন জেলে ভরবেন, বাংলাদেশটাই তো একটা জেলখানা। তাই আমাদেরকে জেলে যাওয়ার ভয়, হত্যার ভয়, গুমের ভয় দেখাবেন না।
মির্জা আব্বাস বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের অত্যাচারে। আজ মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, মিছিল মিটিং করার অধিকার নেই। আর বাংলাদেশের মানুষের সমস্ত টাকা লুট হয়ে যাবে আর আমরা বসে বসে তামাশা দেখব! বাংলাদেশের জনগণ ১৪ বছর এই তামাশা দেখেছে। জনগণ আর এই তামাশা দেখতে চায় না। বাংলাদেশের জনগণ চায় ভোটের মাধ্যমে এবং রাজনৈতিকভাবে এই সরকারের পতন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিভাগের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজাদ হোসেন খান, যুগ্ম সম্পাদক সত্যেনকান্ত পণ্ডিত ভজন, আব্দুস সালাম বাদল, গোলাম আবেদিন কায়সার, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরতাজ আলম বাহার, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী হাবিব হাসান রিন্টু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. জিন্নাহ খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল খালেক প্রমুখ।
জনগণ আর আপনাদের প্রতিরোধ সহ্য করবে না: মির্জা আব্বাস
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
২৭ মে ২০২৩, ০০:৫১:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বাংলার মানুষ যখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও ক্ষুধার জ্বালা মেটানোর জন্য, কথা বলার ও ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নামে তখন আপনারা প্রতিরোধের ডাক দেন। দেশের জনগণ আর আপনাদের এই প্রতিরোধ সহ্য করবে না। আপনাদের প্রতিরোধের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ হবে, কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গায়ে জ্বর এসে গেছে তাই আবোল-তাবোল কথা বলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিন বললেন বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুপ করে ফেলে দেওয়া হবে। আবার তারই ভাগ্নে ফজলে নুর তাপস প্রকাশ্যে বলেছেন তারা নাকি একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছেন। যে সমস্ত সুশীলরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন তাদের নাকি বস্তায় বন্দি করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। এগুলো হত্যার হুমকি নয়! কেন তাকে গ্রেফতার করা হয় না, কেন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় না। তাদের কথা বলার অধিকার আছে আমাদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ওপর তারা যেভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে যদি একটা একটা করে বলি তা বলে শেষ করা যাবে না। মনে পড়ে বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছিল। তার বিচার এখনো হয়নি।
তিনি বলেন, হত্যার রাজনীতি কারা করে। কারা ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে, কারা কমিশনার চৌধুরী আলমকে গুম করে হত্যা করেছে, কারা হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করেছে। আমাদের সারা দেশে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আপনারা কোন জেলে ভরবেন, বাংলাদেশটাই তো একটা জেলখানা। তাই আমাদেরকে জেলে যাওয়ার ভয়, হত্যার ভয়, গুমের ভয় দেখাবেন না।
মির্জা আব্বাস বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের অত্যাচারে। আজ মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, মিছিল মিটিং করার অধিকার নেই। আর বাংলাদেশের মানুষের সমস্ত টাকা লুট হয়ে যাবে আর আমরা বসে বসে তামাশা দেখব! বাংলাদেশের জনগণ ১৪ বছর এই তামাশা দেখেছে। জনগণ আর এই তামাশা দেখতে চায় না। বাংলাদেশের জনগণ চায় ভোটের মাধ্যমে এবং রাজনৈতিকভাবে এই সরকারের পতন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিভাগের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজাদ হোসেন খান, যুগ্ম সম্পাদক সত্যেনকান্ত পণ্ডিত ভজন, আব্দুস সালাম বাদল, গোলাম আবেদিন কায়সার, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরতাজ আলম বাহার, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী হাবিব হাসান রিন্টু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. জিন্নাহ খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল খালেক প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023