৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ, পুলিশ, ইসি ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ নির্বাচন বলে অভিহিত করে- এই প্রহসনমূলক নির্বাচন কোনোভাবেই জনগণের নির্বাচন নয় বলে দাবি করেছে এবি পার্টি। 

বুধবার বিকালে এক পদযাত্রা কর্মসূচিতে এবি পার্টির নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি জনগণের দুর্ভোগ-দুর্দশার প্রতি উপহাস করে কাঁঠালের বার্গার এবং কুমড়ার বেগুনি খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কাঁঠালের বার্গার ও কুমড়ার বেগুনির মতো ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবেন। 

বিকালে প্রহসনমূলক নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে জনমত তৈরির লক্ষ্যে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালনের সময় এ কথা বলেন পার্টির নেতারা। 

পদযাত্রাটি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- এবি পার্টির আহবায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল। 

সমাবেশে এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, পঞ্চাশ হাজার ভুয়া মামলা দিয়ে ২০ হাজার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকে জেলে পুরে শেখ হাসিনা তার পদলেহনকারী নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে একতরফা নির্বাচন করছে। এই ডামি প্রার্থী, কিছু দালাল কিংস পার্টি সঙ্গে নিয়ে প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে দেশের মানুষ তার অধিকার আদায় করে নেবে ইনশাআল্লাহ। 

বিএম নাজমুল হক বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের জন্য সব পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে শুধু খোলা থাকবে তার পতনের পথ। আমরা তার পতনের পথ দেখেই ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ। 

দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, একটা প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করতে গিয়ে সরকার পুরো লেজেগোবরে অবস্থায় পড়ে গেছে।

সরকারি দল নিজেদের মধ্যে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে গিয়ে কৃত্রিম দ্বন্দ্ব সংঘাত বাঁধিয়ে এখন আর কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ, পুলিশ, ইসি ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ কামড়াকামড়ির এ নির্বাচনে মানুষ খুব মজা পাচ্ছে। 

পদযাত্রায় আরও অংশ নেন- যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবির, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।