Logo
Logo
×

রাজনীতি

খেলাফত মজলিস

‘বহুত্ববাদ’ নয় ‘বহুমত, বহুপথ’ যুক্ত করার প্রস্তাব

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম

‘বহুত্ববাদ’ নয় ‘বহুমত, বহুপথ’ যুক্ত করার প্রস্তাব

সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ রাখতে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে খেলাফত মজলিস। দলটির ভাষ্য, বহুত্ববাদ শব্দটি আল্লাহর একত্ববাদের বিপরীত শব্দ। তবে শব্দটি বাদ দিয়ে ‘বহুমত’ বা ‘বহুপথ’ রাখার প্রস্তাব করেছে দলটি। তারা বাংলাদেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করেছে।

সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব কথা জানানো হয়। 

বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। 

খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।

খেলাফত মজলিস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৪৭টিতে একমত, ১৫টিতে দ্বিমত ও ৪টি আংশিকভাবে একমত বলে লিখিত মতামতে জানিয়েছে।

মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেন, ‘উনারা বলেছেন, তারা বোঝাতে চেয়েছেন, বহুত্ববাদ বলতে বহু সংস্কৃতি, বহুমত ও পথের লোক যেহেতু বাংলাদেশে বাস করেন, সবার বিষয়টি যাতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। তখন আমরা বলেছি, বহুত্ববাদ যেহেতু একত্ববাদের বিপরীত শব্দ, শব্দটা বাদ দেন। বহু সংস্কৃতি, বহুমত, বহুপথের সঙ্গে আমরাও একমত। আমরাও চাই এটা আসুক। এজন্য অন্য শব্দ যেন এখানে ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজন হলে বহুমত, বহুপথ এই শব্দও ব্যবহার করতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বহুত্ববাদের বিরোধিতা করেছি। কারণ শব্দটি একত্ববাদের বিপরীত শব্দ বা প্রতিশব্দ। এর মাধ্যমে আল্লাহ যে এক, এটার বিরোধিতা বোঝা যায়। তাই এটি বাদ দেওয়ার জন্য জোর প্রস্তাব করেছি।’ তাদের দল সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখার বিধান পুনর্বহালের দাবি করেছেন বলে জানান তিনি। 

বাংলাদেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, ভৌগোলিক আকারে বাংলাদেশ ছোট দেশ। চারটি প্রদেশে ভাগ করতে গেলে রাষ্ট্রের খরচ বেড়ে যাবে। তাই এ ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছি।

সরাসরি নয়, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রস্তাব করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। বিষয়টিতে দ্বিমত করেছে খেলাফত মজলিস। 

মহাসচিব জালাল আহমেদ বলেন, ‘ইউপি সদস্যদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটবে না। আমরা বলেছি, জনগণের প্রত্যক্ষ সরাসরি ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। সেটা ইউপি বা উপজেলা পরিষদে।’ ইউপি সদস্যদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে টাকার ছড়াছড়ি হবে।

খেলাফত মজলিস বহুত্ববাদ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম