বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যখন স্বাধীনতা যুদ্ধ করি, তখন কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিস্টান- তা একবারের জন্যও ভাবিনি। সবাই একসঙ্গে লড়াই করেছি। আপনাদের প্রতি অন্তরের টান এখনো আছে। আপনাদের কখনই আলাদা করে দেখার চেষ্টা করিনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজনীতি মাঝে-মধ্যে আমাদের আলাদা করে দেয়। সেই রাজনীতি আমাদের পরিহার করতে হবে।

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালীবাড়ি মন্দিরে বুধবার দুপুরে শনিদেব মন্দিরের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট ঠাকুরগাঁও জেলার সভাপতি মনোরঞ্জন সিং, সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু প্রমুখ।

এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখনো মনে করি- আমি আপনাদেরই একজন। তবে আমার একটা অভিযোগ আছে। আমাকে কিছুদিন ওরা দূরে সরিয়ে রেখেছেন। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া তো পাপ নয়, যে যার মতো রাজনীতি করবেন। ভিন্ন রাজনীতি করার কারণে আমাকে দূরে ঠেলে রাখতে হবে- এটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারি না; এটা বাস্তবতা। তবে আমি কোনো অভিযোগ করছি না।

হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আস্থা রাখবেন। আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমরা মনে করি, আপনাদের বিপদ মানে আমার বিপদ। আপনাদের শান্তি মানে আমার শান্তি। আপনাদের সুখ মানে আমার সুখ। কখনো বিভাজনের রাজনীতি আমরা করিনি।

এখনো ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতি মুহূর্তে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আপনাদের মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। এই ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়া আপনাদের মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। সেখানে এমন সব কথা বলে–লেখে, উসকানি দেয়। এতে সবাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, সমস্যা তো থাকবেই। সেই সমস্যা আমাদেরই উত্তরণ ঘটাতে হবে। আপনারা বুকে একটু জোর আনেন। আমরা আগের মতো সেই সম্পর্ক আবার তৈরি করি। আমরা সবাই মিলে একটা চমৎকার সমাজ গড়ে তুলি, যেখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।