‘কিভাবে চিন্ময়ের জামিন হলো, আগে সেই উত্তর চাই’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী জামিন পেয়েছিলেন।
বুধবার বিচারপতি
মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে চিন্ময়
কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার জজ আদালত। এদিন
সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিকে চিন্ময়ের
জামিন পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। বুধবার
নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্ট্যাটাসে
শরিফ ওসমান হাদি বলেন, ‘সন্ত্রাসী চিন্ময়ের জামিন হইছিলো কিভাবে, আগে সেই উত্তর চাই
আমরা।’
ওই পোস্টের
কমেন্টে শিহান মাহবুব নামে একজন লেখেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের জনৈক উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস
করা হোক।’
উল্লেখ্য, চিন্ময়
কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ
হয়। ওই সমাবেশের পর ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের
মামলা হয়। এতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ছাড়াও আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
২২ নভেম্বর
চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গত
২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর
করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের জামিন আবেদনকে কেন্দ্র
করে হামলায় হত্যার শিকার হন আইনজীবী সাইফুল। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল
উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
