ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর চান ১২ দলীয় জোটের নেতারা। রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে জোট নেতারা এ মত তুলে ধরেন। জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা হলো জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রদান করা। সেটা যাতে বিলম্বিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ন্যূনতম একটা ঐকমত্যের জায়গায় এক হওয়া সম্ভব। যা কিছু অসমাপ্ত থাকবে, অনৈক্য থাকবে, পরে সেগুলো সংশোধন করা যাবে। 

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য এবং দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা স্বাভাবিক। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, এটাই গণতন্ত্রের উৎকর্ষতা।’

বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ১৫ মের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করা হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য তৈরির দায়িত্ব শুধু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একার নয়। আপনারা যারা সংগ্রামে আছেন, আপনারা যারা আজ আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, আপনারা আপনাদের সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলুন, অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে কথা বলুন; কী করে আমরা এক জায়গায় আসতে পারি।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও মোহাম্মদ মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। ১২ দলীয় জোটের পক্ষে মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।