শেখ হাসিনা-সাবেক ৩ সিইসিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতারণা জালিয়াতিপূর্ণ, ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটারবিহীন দাবি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক ৩ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভূঁইয়া আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদীপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীর। তাকে সহায়তা করেন আরও কয়েকজন আইনজীবী।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও কামরুল ইসলাম, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদ (২০১২-২০১৭), কেএম নুরুল হুদা (২০১৭-২০২২) ও কাজী হাবিবুল আউয়াল (২০২২-২০২৪) এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশিক উল হককে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সাক্ষী দেখানো হয়েছে ৯ জনকে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জালিয়াতি করে বিনা ভোটের মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করে। অনিয়ম ও কারচুপির ওইসব নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার ছিল না এবং বাংলাদেশকে অন্য রাষ্ট্রের কাছে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করতে ওইসব নির্বাচনের আয়োজন করে একটি পক্ষকে একতরফা ভাবে জয়ী করার ব্যবস্থা করা হয়। যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ হয়ে ষড়যন্ত্র করে ভোটারবিহীন ড্যামি নির্বাচন করেছেন আসামিরা। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছি। আদালত এই মর্মে মামলা হয়েছে কিনা এ বিষয়টি জানার সংশ্লিষ্ট থানাকে তদন্ত করে আগামী ৩ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
