ফিলিস্তিনে জায়নবাদী ইসরাইলের হামলার ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানে হিন্দুত্ববাদী ভারত হামলা করেছে অভিযোগ করে ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ (এনআরসি)।

দলটির দাবি, বিশ্বজুড়ে মুসলিমবিরোধী সমন্বিত এথনিক ক্লিনজিংয়ের অংশ হিসেবে মুসলিম দেশগুলোর ওপর ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ফিলিস্তিন থেকে পাকিস্তানে পরিচালিত হামলা একই সূত্রে গাঁথা। 

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভে বক্তৃতা করেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব ও ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা মো. ইলিয়াস আতহারী।

বক্তৃতায় মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, প্রথমে কাশ্মীরে ভারত তাদের লোক হত্যা করে পাকিস্তানের ওপর এর দোষ চাপিয়ে হামলা চালায়। এ হামলা শুধু পাকিস্তানের ওপর নয় বরং এটি পুরো মুসলিম উম্মাহর ওপর হামলা। আমরা পাকিস্তানের মুসলমানদের পাশে থাকব, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পাশে থাকব। গাজায় হামলা, আরাকানে হামলা এবং পাকিস্তানের ওপর হামলা একই সূত্রে গাঁথা।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের মুসলমানদের ওপর হামলা, গাজায় হামলা, রাফায় হামলা, আরাকানে হামলা সব একই সূত্রে গাঁথা। গাজা ও রাফায় হামলা চালায় ইসরাইল আর ভারত সৈন্য দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছে আর পাকিস্তানে ভারতের হামলা চালাতে ইসরাইল ড্রোন দিয়ে সহযোগিতা করছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালানোর সময় ভারত ও ইসরাইল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে সহযোগিতা করে। হিন্দুত্ববাদীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ভারতে মুসলমানদের নিরাপত্তা দিতে হবে। 

পাকিস্তানে মুলসমানদের ওপর হামলা করে ভারত মূলত পৃথিবীতে রাম রাজত্ব কায়েম করতে চায় বলে অভিযোগ করেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের হামলার সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থ জড়িত। হিন্দুত্ববাদী ভারত মূলত বাংলাদেশের ওপর হামলা চালানোর ক্ষেত্র তৈরি করতে পাকিস্তানের ওপর হামলা চালিয়েছে। মুসলিম উম্মাহকে একত্রিত করে ভারতের সব হামলা মোকাবিলা করা হবে। বাংলাদেশের দিকে নজর দিলে ভারতের হিন্দুত্ববাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।

সমাবেশে ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা মো. ইলিয়াস আতহারী ও ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের অব্যাহত বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। মাওলানা মো. ইলিয়াস আতহারী দেশবাসীকে ইসরাইলি ও ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব আবদুস সালাম ও গালীব ইহসান, কেন্দ্রীয় সদস্য রাজু আহমেদ সদর ও ওয়াসিম আহাম্মদ; বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান,  সহকারী সদস্য সচিব মো. আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম, সরকারি মাদরাসা-ই- আলিয়া শাখার আহ্বায়ক রাকিব মণ্ডল ও সদস্য সচিব জিনাত হোসাইন প্রমুখ।