সাম্য হত্যাকাণ্ডে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের তীব্র প্রতিবাদ ও শোক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হলের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ১৩ মে দিনগত রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য, বর্বর ও কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বুধবার দুপুরে এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির ঢাবি শাখার আহ্বায়ক সানোয়ারা খাতুন এবং সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান এ শোক ও প্রতিবাদ জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, সাম্য একজন সচেতন ছাত্রনেতা হিসেবে রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চায় সক্রিয় ছিলেন। তার মতো একজন অগ্রসরমাণ ছাত্রনেতার এভাবে হত্যাকাণ্ড আমাদের শুধু মর্মাহতই করেনি বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা ছাত্রসমাজকে নিরাপত্তাহীনতায় ফেলেছে। এই হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়— এটি একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দখলদারিত্বের ভয়াবহ পরিণতি।
যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোরভাবে নিরাপত্তা বলয় তৈরির আহ্বান জানাই; বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কিছু দাবি জানিয়েছেন তারা।
দাবিগুলো হলো-
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভেতরে কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্টাফদের যানবাহন এবং অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের অনুমতি দিতে হবে; সব ধরনের বহিরাগত যান চলাচল বন্ধ করতে হবে।
৩. সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব অবৈধ দোকান ও স্থাপনা অপসারণে প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. উদ্যান ও আশেপাশের এলাকায় চলমান মাদক ব্যবসা বন্ধে কঠোর অভিযান চালাতে হবে এবং উদ্যান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় করতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট চালু করতে হবে।
৭. ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল টিমের টহল ও তৎপরতা আরও জোরদার করতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা মনে করি, শাহরিয়ার আলম সাম্যের এই নির্মম হত্যার সুষ্ঠু বিচার এবং ক্যাম্পাস নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব। অন্যথায় ছাত্রসমাজ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
