জবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে গড়িমসি কেন, প্রশ্ন সারজিসের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ০৩:৪৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তিনদফা দাবিতে আজও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চ করা ও রাতভর রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার পরও কেন তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়া হলো না; কেন আবারও রাস্তায় নামতে হলো শিক্ষার্থীদের? সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন সারজিস। যেখানে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অতিদ্রুত মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সারজিস তার পোস্টে লিখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে এত গড়িমসি কেন? তাদেরকে আবার রাস্তায় নামতে হলো কেন?’
আরও পড়ুন:
সাবধান, ছাত্রদের গায়ে যাতে একটা টোকাও না লাগে: উমামা ফাতেমা
সারজিস আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে পুরো দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাষ করা হয়েছে। অথচ ঢাকার বুকে দেশের প্রথমসারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোন আবাসিক হল নেই। মেয়েদের জন্য নামমাত্র একটি আবাসিক হল আছে। একাডেমিক স্পেসও চাহিদার তুলনায় নেই বললেই চলে।’
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটের কথা তুলে ধরে সারজিস লিখেন, ‘যেই সদরঘাট এলাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত সেটি ঢাকার বসবাসের সবচেয়ে অনুপযোগী একটি জায়গা। সেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী কিভাবে থাকবে কিংবা থাকে এগুলো নিয়ে কি কারো মাথাব্যথা নাই?’
আওয়ামী লীগ পতন হওয়ার পরও কেন এখনো এই সমস্যাগুলোর সমাধান হলো না সেই প্রশ্ন তুলে সারজিস লিখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের অনেক জায়গা এবং ভবন এতদিন ধরে দখল করেছিল আওয়ামী লীগের দখলদাররা। কিন্তু এখনো কেন তারা তাদের জায়গা কিংবা ভবনগুলো ফিরে পাচ্ছে না? কেন তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিয়ে দ্রুতগতির সঙ্গে করা হচ্ছে না? কেন একনেকে এখনো সেই বিল পাস হচ্ছে না?’
সারজিস আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তো বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিল। তাদের জন্য আলাদা করে কি হলো? কোন সংস্কারটা করা হলো? কোন সুযোগ সুবিধাটা বাড়ল?’
পোস্টের শেষাংশে সারজিস লিখেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক দাবি গুলো অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হোক। নামকাওয়াস্তে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপে প্রতীয়মান হোক।’
