বায়তুল মোকাররমে ইসরাইল-ভারত বিরোধী সমাবেশে হেফাজতের হামলার অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত ইসরাইল-ভারত বিরোধী সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
দলটির দাবি, শুক্রবার ইসরাইল-ভারত বিরোধী সমাবেশের বিসমিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার লিখিত ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে হেফাজত কর্মীরা তাতে জুতা পেটা করেন, হ্যান্ডমাইক কেড়ে নেওয়া হয়, নেতাকর্মীদের গায়ে হাত তোলে ও দুজনের মোবাইল নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পল্টন থানায় হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গুলবুদ্দিন গালীব ইহসান।
শুক্রবার দলের সহকারী সদস্য সচিব আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলার বিবরণ ও ভিডিও চিত্র তুলে ধরেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
এতে বলা হয়, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ফিলিস্তিন-কাশ্মীর-আরাকানের মুসলমানদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় আজও জুমার নামাজ পড়ে দলের নেতাকর্মী ও মুসল্লিরা উত্তর গেটে সমাবেশ শুরু করে। কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা হলো, কিছুক্ষণ পর আমাদের সবার প্রিয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা পাশ থেকে এসে আমাদের সমাবেশে বাধা দেয়। শুরুতে হেফাজতের ঢাকা মহানগরের এক নেতা এসে খুবই উগ্রভাবে আমাদের বায়তুল মোকাররমের বাইরে চলে যেতে বলতে থাকে। এক পর্যায়ে তার নেতৃত্বে আমাদের হ্যান্ডমাইক কেড়ে নেয় এবং নেতাকর্মীদের গায়ে হাত তোলে। এক পর্যায়ে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম, আল্লাহু আকবার ও ফিলিস্তিন-কাশ্মীর ও আরাকানের স্বাধীনতার দাবি সম্বলিত ব্যানারে ছিনিয়ে নিয়ে তাতে জুতাপেটা করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা হামলার সময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. তোফায়েল আহমদ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব মো. আশরাফুল ইসলামের মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
পরে সমাবেশে হামলা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে পল্টন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গুলবুদ্দিন গালীব ইহসান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের পল্টন জোনের সেক্রেটারি মাওলানা ইমরানুল বারী সিরাজী যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কর্মীরা একটু ঝামেলা করেছিল। এ ঘটনায় আমাদের কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে এবং জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।
