দল গোছানোর জন্য নির্বাচন পেছানো যাবে না: নজরুল ইসলাম খান
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১০:৫১ পিএম
তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন নজরুল ইসলাম খান, ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, কোনো কোনো দল এখনো সংগঠিত হয়নি, তাদের সময় দরকার, অন্য দলের সঙ্গে ঐক্য করার চেষ্টার জন্য সময় দেওয়ার দরকার। কিন্তু আমরা এ জন্য নির্বাচনের অপেক্ষা করব না; জনগণ এ জন্য সময় দিতে রাজি নয়।
শনিবার বিকালে বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, জনগণ চায় স্থায়ী সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো নির্বাচিত ও স্থায়ী সরকার নয়। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার ততটুকু শেষে নির্বাচন দিতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ হলে ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে সমস্যা কোথায়?
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। কিন্তু আসিফ মাহমুদের কথামত দেশ চালালে তো চলবে না।
তিনি বলেন, ইউনূস সরকারের কিছু কিছু ভুল হচ্ছে। তাই সে সম্পর্কে আমরা কথা বলি। কিন্তু এটা কোনো কোনো উপদেষ্টা মানতে পারছেন না। চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া ও অন্য দেশকে করিডর দেওয়ার প্রতিবাদ করবই।
সমাবেশের প্রধান বক্তা যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, জনগণ এ সরকারকে আর চায় না। তাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
বিশেষ বক্তা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা জনগণের মুক্তির সনদ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীতে চাঁদাবাজ, দুর্নীতিমুক্ত, দখলবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, অনেক সহ্য করেছি। আর কোনো বিমাতাসুলভ আচরণ সহ্য করব না। সরকারকে আমরা সবসময় সহযোগিতা করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের সম্মানটুকু করে না। ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার বিচার করা না হলে আবার রাজপথে নামব।
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি আবু হাসান মোহাম্মাদ ইয়াহিয়া, বগুড়ার নিহত যুবদল নেতা ইমরান হোসেনের মেয়ে সামিয়া ইসলাম মীম। সমাবেশ পরিচালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু ও মাহাদী আমিন, বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, ওবায়দুর রহমান চন্দন, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশে উত্তরের ১৬ জেলার হাজারও তরুণ মিছিল নিয়ে অংশ নেন।
