Logo
Logo
×

অন্যান্য

প্রত্যাশা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র

বৈঠকে নির্বাচনের চেয়ে বিচার ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা হওয়া জরুরি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:২০ পিএম

বৈঠকে নির্বাচনের চেয়ে বিচার ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা হওয়া জরুরি

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন শুক্রবার। সেন্ট্রাল লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। 

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে চলমান টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে এ বৈঠক ঘিরে দেশ-বিদেশে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও প্রত্যাশা।

এ বৈঠককে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন প্রত্যাশার কথা তুলে ধরছেন।তেমনি শীর্ষ দুই ব্যক্তির বৈঠক ইস্যুতে যুগান্তরকে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।

বৈঠকের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। দলটির বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অনেক ত্যাগ আছে। সুতরাং বিএনপিকে বাদ দিয়ে দেশ পরিচালনা অত্যন্ত কঠিন— এটা যেমন সত্য, তার থেকে আরও সত্য হচ্ছে—আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এতো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে জুলাই এসেছে। এরপরও ন্যূনতম মৌলিক সংস্কার না করেই যদি বিএনপির দাবি মতে ডিসেম্বরে নির্বাচন দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে জনগণের রক্তক্ষরণ হবে।

সুতরাং দুটোই জনদাবিসরকারকে বিএনপির সঙ্গে বসতে হবে। পাশাপাশি জনতার তরফ থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বসা এটাও আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক। বৈঠকে বসেই সংস্কার ও বিচার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে জনতা প্রত্যাশা করে। পাশাপাশি নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।  

ইনকিলাব মঞ্চের এ মুখপাত্র বিশ্বাস করেনবিচার ও মৌলিক সংস্কার যদি আগামী দুই মাসের মধ্যে হয়ে যায়; তাহলে পরের মাসে নির্বাচন হলে দেশবাসী কোনো প্রশ্ন তুলবে বলে আমার মনে হয় না।  সুতরাং নির্বাচনের তারিখ ইস্যুর চেয়ে বিচার এবং সংস্কার বিষয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক আলোচনা হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটা আরও আগেই বসা উচিৎ ছিল বলে মনে করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত নির্বাচনের টাইমফ্রেম নিয়ে ওসমান হাদি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুন থেকে সরে এসে প্রায় নির্দিষ্ট ডেট ঘোষণা করেছে। আবার বিএনপি ডিসেম্বরের দাবি জানিয়ে আসছে। পলিটিক্স হচ্ছে ‘আর্ট অব কমপ্রোমাইজ’; এক্ষেত্রে সবাইকে কম্প্রোমাইজ করতে হবে। 

ড. ইউনূস জাতীয় নির্বাচন এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে দেশের আম-জনতা সবাই সাদরে গ্রহণ করেছে বলে মনে করেন ইনকিলাব মঞ্চের এ নেতা।

এপ্রিল মাস নির্বাচনের জন্য উপযোগী না-সহ নানা ইস্যু দাঁড় করাবে। কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস হচ্ছে, দেশ স্বাধীনের পর অর্থাৎ ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশে যতগুলো জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, সব থেকে বেশি নির্বাচন হয়েছে মে মাসে। তবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কিছুটা ক্রাইসিস থাকতেই পারে।

নির্বাচনের সময়সীমার থেকে বর্তমানে বড় ক্রাইসিস হচ্ছেবিচার ও সংস্কারের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তে আসা। বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত আসলেই নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কোনো জটিলতা থাকবে না বলে মনে করেন জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় এ নেতা।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম