সারোয়ারকাণ্ডে নাম জড়ানোয় প্রতিবাদ জানালেন এনসিপি নেত্রী
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন। ছবি: ফেসবুক থেকে
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের সঙ্গে আলোচিত ফোনালাপে নাম জড়িয়েছে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীনের। ফোনকলের অপরপ্রান্তে থাকা নারী তাজনুভা উল্লেখ করে তার নাম ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন অনেকে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাজনুভা। বিষয়টি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মঙ্গলবার একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
শুধু এটুকু বলি, যার অডিও আমার নামে বলে ফটোকার্ড, ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে ভরায় ফেলছেন, আমি বা আমরা খুব সহজে তার নাম প্রকাশ করে আমার বিরুদ্ধে হওয়া এই জঘন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করতে পারি। আমরা তার নাম পালটা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছি।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন
সোমবার সারোয়ার তুষারের সঙ্গে এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেত্রীর কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ করেন, সারোয়ার তুষার ওই নারীকে হয়রানি করেছেন।
তাজনুভা বলেন, শুধু এটুকু বলি, যার অডিও আমার নামে বলে ফটোকার্ড, ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে ভরায় ফেলছেন, আমি বা আমরা খুব সহজে তার নাম প্রকাশ করে আমার বিরুদ্ধে হওয়া এই জঘন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করতে পারি। আমরা তার নাম পালটা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছি।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে আসার পর দ্বিতীয়বারের মত খুব পরিকল্পনামাফিক এ ভয়াবহ সাইবার আক্রমণ চালানো হচ্ছে আমাকে ঘিরে। আমি শুধু বুঝি, আমার কথা বা লেখা গুরুত্বপূর্ণ না হলে এত মানুষ আমাকে নিচে নামানোর এত আপ্রাণ চেষ্টা করত না। এসবের উত্তর ‘সময়’ অবশ্যই দেবে। আল্লাহ ভরসা।
এদিকে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নোটিশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এনসিপি নেতা তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, সাংগঠনিক কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় উক্ত বিষয়ে আপনার সুনির্দিষ্ট অবস্থান ও ব্যাখ্যা আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব মো. আখতার হোসেন জানতে চেয়েছেন। এমতাবস্থায় উত্থাপিত নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগের কারণে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী পাঁচ (০৫) দিনের মধ্যে ‘রাজনৈতিক পর্ষদ’ এবং এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি বরাবর প্রেরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।
