হাসিনা ও তাদের দোসরদের বিচার দাবি
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূতিতে পল্টনে অসহায় মানুষের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৫২ পিএম
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পল্টন থানার উদ্যোগে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূতি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে পল্টন থানার বিভিন্ন স্থানে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই খাবার বিতরণ করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, জামায়াত মনোনীত ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমদ খানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি এডভোকেট মারুফুল ইসলামের সঞ্চালনায় খাবার বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন পল্টন থানার সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান শাহীন ও এনামুল হক, ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী খন্দকার আব্দুর রব, থানা কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে ওমর ফারুক, আবুল ফারাহ মো. ইউসুফ, শামীম হাসনাইন ও মোহাম্মদ আল-আমীন রাসেল প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। এই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন করতে হলে রাষ্ট্রীয় সকল ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের দাবিই হচ্ছে আগে গণহত্যার বিচার ও তারপর নির্বাচন। তাই ইন্টেরিম সরকারকে খুনি হাসিনা সহ তাদের দোশরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার না করে যেনতেন ভাবে একটি নির্বাচন দিলে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। এদেশের মানুষ আর কোন ফ্যাসিবাদকে মেনে নেবেনা। জামায়াতে ইসলামী জুলাই-আগস্টকে শুধু স্মরণ করতে চায় না, জামায়াতে ইসলামী জুলাই চেতনা লালন ও ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংস্কারে সহযোগিতা করলেও একটি রাজনৈতিক দল ও তাদের মিত্ররা সহযোগিতার পরিবর্তে নিজেদের দলীয় স্বার্থে নিজেদের মতো করে সংস্কার চায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোন একক ব্যক্তি বা দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়নি। দেশ ও জাতির কল্যাণে বৈষম্যহীন একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে রূপ দেওয়ার জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী শহীদদের চেতনাকে ধারণ করে এদেশকে বৈষম্যহীন মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে ও জনগণের ৭ দফা দাবি আদায়ের জন্য আগামী ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ আহ্বান করেছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদকে রুখে দিতে, ন্যায় এবং ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্রের নতুন বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন করতে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সেই সমাবেশে যোগদানের জন্য তিনি উদাত্ব আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে শাহীন আহমদ খান বলেন, জুলাই বিপ্লবের জন আকাঙ্খা বাস্তবায়নে দ্রুত গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। চাঁদাবাজি ও দখলদার মুক্ত পল্টন গড়তে জামায়াত অঙ্গীকারবদ্ধ।

