গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ৯৮ ভাগ মানুষের নাম কেউ জানে না: মঞ্জু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান সফল না হলে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে না গেলে আজ হাজার হাজার শহীদ পরিবার ও আহতদের জঙ্গি তকমা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হতো, বিপন্ন হতো আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারাসহ আমাদের অনেকের জীবন। গণহত্যা চালানো আওয়ামী পুলিশ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা পেতো বীরের খেতাব। গণঅভ্যুত্থান কখনও একক কারও চিন্তা বা অবদানে সফল হয় না। গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ৯৮ ভাগ মানুষের নাম কেউ জানে না।
শনিবার (১৯ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তোরনের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু ২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল গণতন্ত্র মঞ্চ ও এবি পার্টির যৌথ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের নৃশংস হামলার স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের স্মৃতি ও গল্প আছে। কিন্তু আমরা ঘুরে-ফিরে অল্প কিছু মানুষের স্মৃতি ও গল্পই কেবল শুনছি। অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ৯৮ ভাগ মানুষের কথা আমরা অনেকে শুনতে পারিনি। এবি পার্টির পক্ষ থেকে একটি জন-গণ-শুনানির দাবি জানানো হয়েছিল, যার মাধ্যমে সবাই নিজ নিজ স্মৃতি ও নির্যাতন ভোগের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবেন, কিন্তু সরকার সে রকম কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, শহীদ আবু সাঈদের বাড়ির সামনে আজ নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে, আমরা সবাই শ্রদ্ধাভরে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করছি কিন্তু গণঅভ্যুত্থান সফল না হলে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে না গেলে আজ হাজার হাজার শহীদ পরিবার ও আহতদের জঙ্গী তকমা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হতো, বিপন্ন হতো আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারাসহ আমাদের অনেকের জীবন। অভ্যুত্থানের আগে চরম নির্যাতনে যারা ধৈর্য্য, ঐক্য ও ত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তারা আজ সব পেয়ে দিশাহারা হয়ে গেছেন। এই বেশি পাওয়ার অপব্যবহার করলে তার প্রতিফলও একদিন ভোগ করতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জেএসডির তানিয়া রবসহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে টেলিফোনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় তিনি ডা. শফিকুর রহমানকে সরাসরি ফোন করে খোঁজখবর নেন।
