Logo
Logo
×

রাজনীতি

পদযাত্রায় রাঙামাটিতে এনসিপি নেতারা

আমরা সৌহার্দ-সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চাই

Icon

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

আমরা সৌহার্দ-সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চাই

ছবি: যুগান্তর

রাঙামাটিতে পদযাত্রা কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, আমরা কোনোরকম বৈষম্য চাই না। পাহাড়-সমতলের সব মানুষের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান। এখানে জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, ধর্ম, বর্ণের প্রতি কোনোরকম বিভেদ-বিভাজন রাখা যাবে না। এ বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই-সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে রাঙামাটিতে পদযাত্রায় এসব কথা বলেন এনসিপি নেতারা।

তারা বলেন, এ দেশে সবার অধিকার নিশ্চিত করে বৈষম্য দূর করতে হবে। যাতে জাতি-গোষ্ঠী সব সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরের সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করতে পারে। তাই আগামীতে আমরা একটি সৌহার্দ-সম্প্রীতির নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। এজন্য মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে একটি নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে। যেখানে দেশের সব জাতি-গোষ্ঠীর স্বীকৃতি থাকবে এবং সবার অধিকার সংরক্ষিত হবে।

এ কর্মসূচি ঘিরে জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার রাত থেকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয় পুরো শহর। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১১০০ সদস্য।

শহরের রাজবাড়ীর শিল্পকলা একাডেমি থেকে পদযাত্রা নিয়ে সমাবেশস্থলে যান এনসিপি নেতাকর্মীরা। দুপুর দেড়টার দিকে বনরুপা পুলিশবক্স চত্বরে সমাবেশ শুরু হয়।

এনসিপি জেলা আহ্বায়ক বিপিন জ্যোতি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা। সমাবেশ পরিচালনা করেছেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা পদযাত্রা নিয়ে প্রত্যেক সম্প্রদায় ও জাতি গোষ্ঠীর কাছে প্রত্যেক জনপদে যাচ্ছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে নানা বিভাজন, অশান্তি জিইয়ে রেখে কিছু গোষ্ঠী নিজেদের সুবিধা ও স্বার্থ হাসিল করে নিতে চায়। আমরা তাদের সেই সুযোগ দিতে চাই না।

তিনি বলেন, মুজিববাদী সংবিধানে দেশের সব জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। তাই সেই সংবিধানের প্রতিবাদ করেছিলেন পার্বত্য অঞ্চলের নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। আমরা বাংলাদেশের নতুন সংবিধানে সব জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি চাই। তাই মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে সবার জন্য সংবিধান চাই। মুসলিম, হিন্দু, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ সব জাতিগোষ্ঠীকে একত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এমন সৌহার্দ গড়ে তুলতে হবে।

উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমরা দেখেছি রাষ্ট্র কাঠামোতে কোনো আমলা, কর্মকর্তা, কর্মচারী দুর্নীতি-অপরাধ করলে তাকে শাস্তি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করা হয়; কিন্তু সেই দুর্নীতিবাজরা পার্বত্য এলাকায় গিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। এটা হবে কেন? দুর্নীতিবাজরা যেখানে যায় সেখানে অপরাধে জড়াবে। তাই তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। পাহাড়কে যাতে কেউ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম