Logo
Logo
×

রাজনীতি

টাঙ্গাইলে জুলাই সমাবেশে

নতুন রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত প্রয়োজন: জোনায়েদ সাকি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম

নতুন রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত প্রয়োজন: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, শহীদের দেওয়া প্রাণকে যদি আমরা মর্যাদা দিতে চাই, নিজেদের ভবিষ্যৎকে তৈরি করতে চাই, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় আমাদের নতুন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে হবে।

রোববার বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলন জেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জুলাই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও মাজার জেয়ারত করেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, লুটপাট, দুর্নীতি আর দখলদারির অর্থনীতিকে বহাল রেখে এবং বিভাজনের সংস্কৃতি বজায় রেখে বাংলাদেশে আমরা কোনো নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে পারবো না। এই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত বদলাতে হবে। তার ওপর দাঁড়াবে নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। গণতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ছাড়া গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত টিকতে পারবে না। এর জন্য গণমানুষের রাজনৈতিক দল দরকার, যারা গণমানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে। শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি, কর্মচারী, ছাত্র-তরুণ সকলের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে এমন জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তিকে আমাদের গড়ে তুলতে হবে।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, এই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে যারা রক্ত দিয়েছেন তারা জনগণের বাংলাদেশের দিকে আমাদের নতুন যাত্রার দিশারী। আজকে শহীদের মায়েদের এখানে বলতে হচ্ছে, আমাদের শহীদদের হত্যার এখনও বিচার হয়নি। শহীদরা এখনও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাননি। আমাদের আহতরা এখনও সম্পূর্ণ চিকিৎসা পায়নি। শহীদদের পরিবারের ও আহতদের জীবনের দায়িত্ব নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ কায়েমের ইতিহাস তুলে ধরে জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন পঞ্চদশ সংশোধনী করল, তখনই পরিষ্কার বোঝা গেছে, তারা একটা ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করতে চায়। নিজেদের শাসনকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে পরিণত করার জন্য তাদের বাসনাকে সহায়তা করেছে আমাদের দেশের সাংবিধানিক স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামো। সমস্ত ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। যিনি প্রধানমন্ত্রী হন তার হাতে সব ক্ষমতা, তিনিই পুরো রাষ্ট্রটা পকেটে ঢুকিয়ে স্টিমরোলার চালিয়েছেন। এটাই ১৯৭২ সাল থেকে এদেশের মানুষের অভিজ্ঞতা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শহীদ মারুফ মিয়ার মা মোর্শেদা বেগম, আহত জুলাই যোদ্ধা ফাতেমা খানম, আকাশ রহমান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সভাপতি ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ফাতেমা রহমান বিথী, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সংগঠক তুষার আহমেদ, শহীদ মোহাম্মদ ইমনের ভাই মোহাম্মদ সুজন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য আলিফ দেওয়ান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন  জেলার দপ্তর সম্পাদক প্রেমা সরকার, টাঙ্গাইল পৌর কমিটির আহবায়ক আদিবা হুমায়রা প্রমুখ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম