Logo
Logo
×

রাজনীতি

‘ধর্মীয় অনুভূতির সুরক্ষা ও সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম

‘ধর্মীয় অনুভূতির সুরক্ষা ও সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে’

ধর্মীয় অনুভূতির সুরক্ষা ও সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তা দুটোই রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। রোববার এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানিয়েছেন।    

বিবৃতিতে তারা আগের মতো এবারও ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা এবং সেই সূত্রে দাঙ্গা সৃষ্টির নেপথ্যে ভারতীয় পরিকল্পনা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।   

তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ফেসবুকে রাসূলের (সা.) নামে কটূক্তিকারী হিন্দু ব্যক্তি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলাকারী উভয়পক্ষের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে এর নেপথ্যে ভারতীয় সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খুঁজে বের করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। কারণ রংপুরে বারবার একই প্যাটার্নের ঘটনা রহস্যজনক। ফেসবুকে হিন্দু কর্তৃক ধর্ম অবমাননা এবং সেইসূত্রে দাঙ্গা সৃষ্টির নেপথ্যে ভারতীয় পরিকল্পনা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে ভারতের ষড়যন্ত্র নতুন নয়। 

তারা আরও বলেন, এর আগেও যথাক্রমে ২০১৭ সালের অক্টোবরে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় টিটু রায় এবং ২০২১ সালে একই জেলার পীরগঞ্জে পরিতোষ সরকার ফেসবুকে রাসূলের (সা.) নামে কটূক্তিপূর্বক ধর্মীয় উসকানি দিয়ে দাঙ্গার পথ তৈরি করেছিল। রংপুর ছাড়াও দেশের আরও সাতটি জেলায় একই প্যাটার্নের ঘটনা ঘটেছিল পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে।

‘ফেসবুকে অমুসলিম যুবকের ধর্ম অবমাননামূলক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলাগুলোর কোনোটিরই বিচার না করে ফ্যাসিস্টরা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বরং আওয়ামী লীগের লোকজনের বিরুদ্ধেই সেসব হামলায় জড়িত থাকার শক্ত অভিযোগ রয়েছে। এখনো ভারতে আশ্রয়াধীন পলাতক ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে তৎপর। এবারের রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঘটনাও তা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। ইতিমধ্যে ভারতের এদেশীয় চিহ্নিত দালালরা আন্তর্জাতিকভাবে ইউনূস সরকারকে চাপে ফেলতে অপপ্রচার শুরু করেছে। 

হেফাজত নেতারা বলেন, ভারত এদেশের কিছু উগ্রবাদী হিন্দুকে ব্যবহার করছে বলে আমরা মনে করি। এ কারণে মুসলিম ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়কে বিপদে পড়তে হয়। বিষয়টি উদ্বেগজনক। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ফেসবুকে মুসলিম নামে ফেক আইডি খুলে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নাটোর থেকে সুজন কুমার নামে এক হিন্দু যুবক গ্রেফতার হয়েছিল। 

তারা বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ জন হিন্দু যুবক গ্রেফতার হয়েছে। জমি-জমা সংক্রান্ত হানাহানির ঘটনাকেও কিছু মিডিয়ায় ‘সাম্প্রদায়িক’ হামলা হিসেবে দেখিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। ফলে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে ভারত ও পতিত ফ্যাসিস্টদের সংশ্লিষ্টতা থাকার সম্ভাবনা অমূলক নয়। হিন্দুত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সব নাগরিকের ধর্মীয় অনুভূতির সুরক্ষায় অতিদ্রুত কঠোর আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তাও সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম