তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেফতার নিয়ে যেসব প্রশ্ন রাশেদ খানের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা নিছক একটা ভুয়া মামলা। ভুয়া মামলায় কেন তাকে গ্রেফতার করতে হবে? সে তেলবাজি করেছে, তেলবাজির মামলায় বা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ থাকলে সেটির প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করতে পারতো।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান এসব কথা বলেন।
গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, ‘তৌহিদ আফ্রিদিদের আমি কখনোই পছন্দ করি নাই। এদের তেলবাজি নিয়ে আমি বরাবরই প্রতিবাদ করেছি, বক্তব্যও দিয়েছি। বরাবর বলেছি, এসব তেলবাজরা তরুণদের আইডল হডে পারেনা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা আইনের শাসনের কথা বলছি। ভুয়া মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা আইনের শাসন কায়েমের অন্তরায়। যার বিরুদ্ধে যতোটুকু অভিযোগ, সে যতোটুকু অন্যায় করেছে, তাকে ততোটুকুই শাস্তি দিতে হবে।’
রাশেদ খান আরও বলেন, সরাসরি আওয়ামী লীগের পদে থাকা ডামি এমপি বা মন্ত্রীরা কেন গ্রেফতার হচ্ছে না? তৌহিদ আফ্রিদির থেকে তারা বড় অপরাধী। তারা সন্ত্রাসী পেলেছে, দুর্নীতি করেছে, শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। তাদেরকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নিরাপত্তা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। বিচার শেষ হওয়ার পূর্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে সারাদেশে এরা জামিনও পাচ্ছে। আমি ১ বছর এসব নিয়ে প্রতিবাদ করায় অনেকের বিরাগভাজন হয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এসব কর্মযজ্ঞের সমালোচনা করায় যারা আমার সমালোচনা করেছে, তারা দেখি এখন সরাসরি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সরকারের কঠোর সমালোচনা ও আক্রমণ শুরু করেছে। এজন্য আমি আপাতত সরকারের সমালোচনা বন্ধ করেছি যে, স্বার্থে আঘাত লাগায় বা সরকারের সঙ্গে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বিরোধ তৈরি হওয়ায় আমার সমালোচকদের বিবেক জাগ্রত হয়েছে। তারা আপাতত সব পুষিয়ে দিচ্ছে।
