Logo
Logo
×

রাজনীতি

বিএনপি নেতা মামুন হাসান কারাগারে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

বিএনপি নেতা মামুন হাসান কারাগারে

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসানকে পৃথক চার মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মামুন হাসান। শুনানি শেষে ঢাকার পৃথক চার আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, কারাদণ্ড দেওয়ার কারণে মামুন হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উচ্চ আদালতে খুব দ্রুতই জামিন আবেদন করা হবে।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের মামলায় মানুন হাসানকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইদিন মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের আরেক মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। একই বছরের ১২ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার মামলায় পৃথক দুই ধারায় তাকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়। এর আগে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।

শুনানিতে আরও ছিলেন অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সুমন।

নজরুল ইসলাম বলেন, আজ মামুন হাসান আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

 আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করছি, শিগগিরই তিনি জামিনে কারামুক্ত হবেন।

এদিকে শুনানিতে নজরুল ইসলাম আদালতকে বলেন, “মামুন হাসান রাজপথ থেকে বেড়ে ওঠা একজন নেতা। একজন নেতার যেসব গুণাবলী, আদর্শ থাকা দরকার-সেগুলোর সবই তার ছিল এবং আছে। তার বিরুদ্ধে ২৮৬টি মামলা দেওয়া হয়।”

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা জনসাধারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতাদের মামলা দিয়ে নিঃশেষ করার চেষ্টা করেন। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দেন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। আগামীতে ঢাকা-১৫ আসনের কাণ্ডারী হবেন। মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। আপিলের শর্তে জামিনের প্রার্থনা করছি।

তবে জামিন দেওয়ার এখতিয়ার না থাকায় আদালত মামুন হাসানের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে মামুন হাসানের সাথে আদালতে আসেন কয়েকশত নেতাকর্মী। তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মামুন হাসান তাদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। তারপরও আদালতপাড়ায় স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

কারাগারে নেওয়ার আগে সিএমএম আদালতের ফটকে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের পুলিশকে তাদের কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ন্যায়বিচার পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম