রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে আদালতকে ব্যবহার করা হয়: সামান্তা শারমিন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে আদালতকে ব্যবহার করা হয়। আগেও আমরা দেখেছি, এ ধরনের ষড়যন্ত্রে সাধারণত আদালতকে ব্যবহার করা হয়। এটা বাংলাদেশের রাজনীতিক ইতিহাসে একটি সাধারণ ব্যাপার। আপনি জাতীয় রাজনীতিতেও দেখবেন যে আদালতকে ব্যবহার করা হয়। কারণ আমাদের আদালতটা কোনোভাবে স্বাধীন না। দেখবেন যে, আমাদের যে প্রধান বিচারপতি থাকেন, তার ওপর একজনের হাত, একজনের কথা এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’
সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি যতদুর জানি ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তাদের বিগত দিনের কর্মকাণ্ডসহ তাদেরকে যদি বিচার করেন, তাহলে দেখবেন যে ডাকসু নির্বাচনে সৈকতের যে আহ্বান সেটা যোগসাযোগ তাদের সঙ্গে আছে। আমি মনে করি আওয়ামী লীগের স্টাবলিশমেন্টর সঙ্গে এখনো যে যোগাযোগ, তারা ধীরেধীরে নিজেদের আপোসকামিতার রাজনীতির দিকে নিজেদের ঠেলে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের জনগণ এটা দেখছেন, তাদের চোখের বাইরে যায়নি। জনগণকে হালকা ভাবে দেখার কোনো কারণ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাকসু বাংলাদেশে নেতৃত্ব তৈরির সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের একটি হাম্দ আর ডাকসু সেখানে নেতা তৈরির কারখানা বলা যায়।’
সামান্তা শারমিন বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জাতীয় রাজনীতি, এটা হচ্ছে ছাত্র রাজনীতির ফেস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আসে সাধারণত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সংগ্রাম করা ছেলে-মেয়েরা।
তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন নির্ভর করে জাতীয় রাজনীতির ওপর। জাতীয় নির্বাচন নির্ভর করবে ডাকসু নির্বাচন কেমন হচ্ছে তার ওপর। আপনি দেখবেন যে ডাকসু নির্বাচনে কখন ক্ষমতাসীন প্যানেল জিততে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি ডাকসু নির্বাচন বানচাল করা বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। বরং সব দল নির্বিশেষে ডাকসু নির্বাচন যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, যারা জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছেন, তাদের আরো বেশি প্রয়োজন ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করা। তারাই যদি বিভিন্ন ধরনে ষড়যন্ত্রের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন, তবে সেটা তাদের রাজনৈতিক ভবিষতের জন্য একরকমের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘সৈকত সাহেব বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, প্রগতিশীল ছাত্র যারা আছেন, তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস দেখি সেখানে নানা সময় আওয়ামী লীগকে রেলগেট করার কাজটা প্রগতিশীল মনা বা যারা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করেন তাদের যোগসাযোগে হয়। আরেকটি অংশ তাদের বিপক্ষে থাকে। আমরা এ ক্ষেত্রেও দেখলাম যখন রিটটা করা হচ্ছে, রিটটা করার কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। যিনি এই রিটা করেছেন, তার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও আইনজীবীর এই রিটে সাহায্য করেছেন তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেন।’
