প্রবাসীদের অন্তরজুড়ে যুগান্তর
মো. শরীফ উদ্দিন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৪ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
১লা ফেব্রুয়ারি যুগান্তর দুই যুগে পদার্পণ করছে। তাই দেশে-বিদেশে সবাই অত্যন্ত আনন্দিত। সেরা গণমাধ্যমের সম্মাননা অর্জন ও সর্বাধিক প্রচারিত একমাত্র শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক যুগান্তর'। পত্রিকাটি অনেক পথ পাড়ি দিয়ে আজ এ অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে।
শুরু থেকেই পত্রিকাটি সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ এবং গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। এটা কেবল কর্তৃপক্ষের দক্ষ পরিচালনার জন্যই সম্ভব হয়েছে। আর তাই যুগান্তর স্বগৌরবে মহিমান্বিত শীর্ষস্থানে রয়েছে।
এ পত্রিকার খবর ও বিশ্লেষণধর্মী লেখাগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। নির্ভীক সাংবাদিকতা যুগান্তরের বৈশিষ্ট্য। মানুষের আস্থা, বিশ্বাস, নির্ভরতার নাম যুগান্তর।
এছাড়া সারাবিশ্ব থেকে অসংখ্য সংবাদ প্রকাশ করে যুগান্তর অনলাইন পরবাস। প্রবাসীদের সুখ, দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, মিলনমেলা, কমিটির নানান খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ সব সমস্যা ও সম্ভাবনার কথাগুলো যুগান্তর নিয়মিত তুলে ধরে মানুষের পাশে রয়েছে। যার কারণে গণমানুষের (প্রবাসীদের) অন্তরজুড়ে একমাত্র যুগান্তর।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা বসবাস করে। চিরন্তন সত্য হলো প্রবাসে যারা রয়েছে তারা নিশ্চয়ই রিজিকের টানে না হয়, মৃত্যুর টানে এসেছে। বিশেষ করে আমরা যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেছি। প্রতিনিয়ত এখানে খুন, গুম, হত্যা, অপহরণের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এসব সংবাদ ‘পরবাস’ প্রকাশের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন হতে তুলতে চেষ্টা করে বলে প্রবাসীদের অন্তরজুড়ে রয়েছে যুগান্তর।
দৈনিক যুগান্তরে আমার কলাম লেখাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমসাময়িক সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে করণীয় দিকগুলো তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় নিরাপত্তাঝুঁকিতে প্রবাসী বাংলাদেশি, দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিদের সচেতন ও সাবধান হতে পরামর্শ, দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিদের সমস্যার আলোকে পরামর্শ।
সচেতনমূলক লেখাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ধুমপান এবং জনসচেতনতা, ভালো বন্ধু আজীবনের সম্পদ, বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট থাকুক আজীবন, জীবন পরিবর্তনে প্রকৃত ভালো বন্ধু প্রয়োজন, আমার ভালোবাসা যুগান্তরসহ বন্ধুত্ব নিয়ে আরও একাধিক লেখা যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে।
খুব আন্তরিকতার সঙ্গে যুগান্তর মানুষের কল্যাণে খবর তুলে ধরেছে। আশাকরি এসব লেখা পড়ে অন্তত কিছুসংখ্যক হলেও প্রবাসী বাংলাদেশি উপকৃত হয়েছেন। আমার বলতে দ্বিধা নেই, যুগান্তরে লিখে যে স্বস্তি ও আনন্দ পাই, তা অন্যত্র পাই না। নিঃসন্দেহে বলতে পারি জনকল্যাণমূলক সংবাদ প্রচারের জন্য সবার (প্রবাসীদের) অন্ততজুড়ে রয়েছে যুগান্তর।
পরিশেষে যুগান্তরের জন্মদিনে বলব- পত্রিকাটির অসংখ্য ভালো দিক রয়েছে। দেশ-বিদেশের সব মানুষের আশা ভালোবাসা চাওয়া-পাওয়ার পুরোটাই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে একমাত্র যুগান্তর। গণমানুষের অন্তরজুড়ে থাকা সেরা পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর সম্মাননা অর্জন করেছে। সবার শীর্ষে থেকেই সামনে এগিয়ে যাবে। শুধু দুই যুগ নয়, শত শত বছর এভাবেই তার প্রশংসনীয় জায়গায় (ধরে রাখবে) এগিয়ে থাকবে সবার প্রিয় একমাত্র দৈনিক যুগান্তর।
