যুগান্তরের দুই যুগ ও দেশের রাজনীতি
মোনায়েম সরকার
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:০১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাটি প্রকাশনার দুই যুগ পূর্ণ করেছে। এটি আনন্দের সংবাদ নিঃসন্দেহে। একটি পত্রিকা দুই যুগ ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে, এটি নিশ্চয়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ধরে নেওয়া যায়, পাঠকদের মনে পত্রিকাটি ঠাঁই করে নিয়েছে বলেই এর প্রকাশনা বন্ধ বা ব্যাহত হয়নি। সারা দেশে যুগান্তরের অনেক পাঠক আছে। যুগান্তর পাঠকদের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী সংবাদ পরিবেশন করতে না পারলে এটি সম্ভব হতো না। আমি নিজে একজন পুরোনো রাজনৈতিক কর্মী। প্রতিদিন সকালে অনেক খবরের কাগজ পড়া আমার দীর্ঘ সময়ের অভ্যাস। সব কাগজ হয়তো সমান মনোযোগ দিয়ে পড়া হয়ে ওঠে না। তবে যুগান্তরের অনেক খবর আমার মনোযোগ কাড়ে; তেমনি এতে যেসব কলাম ছাপা হয়, সেগুলোও আমাকে বিষয়বৈচিত্র্যের কারণেই আকর্ষণ করে। সবার সব লেখার সব বিষয়বস্তু বা মতের সঙ্গে হয়তো সহমত পোষণ করি না, কিন্তু এই যে নানা ধরনের মত প্রকাশের সুযোগ যুগান্তর খোলা রেখেছে-এটি আমার ভালো লাগে।
দেশের সব মানুষ রাজনীতি করে না বা অনেকেই হয়তো সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়। কিন্তু রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ প্রভাবিত করে সব মানুষের জীবন। রাজনীতি যেহেতু রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যবস্থা-রাষ্ট্র, সরকার এগুলো সবই রাজনীতির হাত ধরে চলে। একজন মানুষ রাজনীতির প্রতি বিতৃষ্ণ হতে পারেন, কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনের কারণে দেশে অস্থিরতা তৈরি হলে, অচলাবস্থা দেখা দিলে, ওই ব্যক্তিও নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পারেন না। রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিন্তু জীবন দিতে হয় রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকে না-নিরীহ পথচারী কিংবা দর্শক ধরনের মানুষকেই।
সেজন্য আমি মনে করি, সব মানুষেরই কিছু না কিছু রাজনীতি সচেতনতা থাকা ভালো। আর সবার মধ্যে থাকতে হবে দেশপ্রেম বা দেশাত্মবোধ। এক্ষেত্রে সংবাদপত্র হতে পারে সাধারণ মানুষের বড় সহায়। সংবাদপত্রের কাজ শুধু খবর পরিবেশন করা নয়। সংবাদপত্র জনমত তৈরিতে যেমন বড় ভূমিকা রাখতে পারে বা রাখে, তেমনি মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। যুগান্তর এ কাজটি করছে বলেই এর প্রতি পাঠক টান অনুভব করে। পত্রিকাটি চলছেও তাই দুই যুগ ধরে।
আমাদের এটি জানা যে, গত শতকের ষাটের দশক ছিল নানা কারণে দেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। ওই দশকেই মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দানা বেঁধেছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালিকে অধিকার ও মর্যাদাসচেতন করে যে প্রতিবাদী চেতনার পথ রচনা করেছিল, ষাটের দশকে সেই পথে চলার মতো অনেক পথিক যেমন তৈরি হয়েছে;
তেমনি রাজনৈতিক সচেতনতা ও সাংগঠনিকভাবে একটি সংহত রূপ দেওয়ারও সুযোগ বিস্তৃত হয়েছে তাতে। জনগণকে একটি দেশের মূল শক্তি বলা হয়ে থাকে। মানুষের জন্যই আসলে সবকিছু। মানুষ আছে বলেই দেশ দরকার, রাষ্ট্র দরকার। সেজন্য বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণকে ‘সকল ক্ষমতার উৎস’ বলা হয়েছে। শাসকদের যে ক্ষমতা বা শক্তি, তা এ সাধারণ মানুষই দিয়ে থাকে। সাধারণ মানুষ তার ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটায় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আবার ক্ষমতা জবরদখল করেও শাসক হওয়া যায়।
বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদকে ভিত্তি করে একটি জনজাগরণ ঘটেছিল ষাটের দশকে। এ জাগরণ ঘটানোর পেছনে ভূমিকা পালন করছেন কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি। অনেকেই এ কাজটি করেছেন। তবে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা সবচেয়ে বেশি অর্জন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। বিচ্ছিন্ন ও অসংগঠিত জনগণের প্রকৃতপক্ষে কোনো শক্তি নেই। কোনো বিশেষ কারণে হঠাৎ মানুষ একত্র হতে পারে, বড় ধরনের নৈরাজ্যও করতে পারে; কিন্তু কোনো স্থির লক্ষ্যে পরিবর্তন করতে গেলে মানুষকে সংগঠিত করতে হয়। সচেতন করতে হয়। এ সচেতন ও সংগঠিত করার কাজটি করে থাকেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই। রাজনীতিবিদদের তাই বলা হয়ে থাকে পরিবর্তনের দূত। যুগে যুগে রাজনীতিবিদরাই মানুষকে এগিয়ে চলার পথ দেখিয়েছেন, দেখান।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অনেক রাজনৈতিক নেতারই অবদান আছে। আর একদিনে কিছু হয় না। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও একদিনে সামনে আসেনি। কেউ একজন হঠাৎ ঘোষণা দেওয়ায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, বিষয়টি তেমনও নয়; এটি অনেক বছরের ধারাবাহিক ছোট-বড় নানা সংগ্রামের সফল পরিণতি। মানুষকে তৈরি করা, সংগঠিত করার কাজটি অনেকে করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই হয়ে উঠেছিলেন জনগণের নয়নের মণি। মানুষের আস্থার প্রতীক। শেখ মুজিব দীর্ঘ জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর ব্রত তিনি নিয়েছিলেন। এবং তার কাজে সহায়ক ভূমিকা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল একটি সংবাদপত্র, নাম ইত্তেফাক। এ পত্রিকার মালিক-সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ও বার্তা সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনের মতো বিচক্ষণ, সাহসী ও দূরদর্শী সাংবাদিক শেখ মুজিবের সঙ্গে ছিলেন বলেই তার পক্ষে সম্ভব হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়া। ইত্তেফাক যদি ‘নিরপেক্ষ’ ভূমিকা পালন করত, যদি আওয়ামী লীগের অনানুষ্ঠানিক মুখপত্র হয়ে না উঠত, তাহলে শেখ মুজিবের পক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠা কিংবা বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নেওয়া সম্ভব হতো কিনা, সে প্রশ্ন তোলাই যায়। একটি নির্দিষ্ট দল ও বিশেষ মতকে সমর্থন করেও যে সবার প্রিয় হয়ে ওঠা যায়, তা ইত্তেফাক প্রমাণ করেছিল।
ইত্তেফাক যেমন বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগের বক্তব্য প্রচারে নিঃশঙ্ক ভূমিকা রেখেছে, তেমনি দৈনিক সংবাদ ছিল বাম প্রগতিশীলদের অঘোষিত মুখপত্র। তবে গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক মতামত প্রচারেও সংবাদের ভূমিকা ছিল। মুসলিম লীগের আজাদ বা জামায়াতে ইসলামীর সংগ্রাম যে তখন ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় পড়েছিল, সেটি ওই রাজনৈতিক ধারার দুর্বলতার কারণেই। মুসলিম লীগ ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের সময়ই প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। জনগণের কাছে যে রাজনীতি গ্রহণযোগ্য ছিল না, সেই রাজনীতির মুখপত্র হলে ওই সংবাদপত্রের পক্ষেও টিকে থাকা সম্ভব হয় না। ষাটের দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী ধারার আওয়ামী লীগের উত্থানপর্ব চলছিল বলেই তার পক্ষের ইত্তেফাকও হয়ে উঠছিল পাঠকপ্রিয়। শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ায় ইত্তেফাক জনচিত্তে আরও প্রবল অবস্থান নিয়েছিল। ইত্তেফাকের পরের অবস্থানেই ছিল সংবাদ। কারণ, তখন দুনিয়াজুড়ে সমাজতন্ত্রের পক্ষে এক ধরনের জোয়ার চলছিল। বাংলাদেশেও রুশপন্থি কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাব বাড়ছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাম ধারার ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের প্রভাব ছিল লক্ষণীয়। এ কারণে সংবাদ পত্রিকার পাঠকসংখ্যাও নেহায়েত কম ছিল না।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্যস্বাধীন দেশে পুরোনো সংবাদপত্রের সঙ্গে নতুন সংবাদপত্রও প্রকাশিত হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কঠিন সময়ে সংবাদপত্রের যে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন জরুরি ছিল-রাজনৈতিক মতের অনুসারী গণকণ্ঠ ও হক কথা সেখানে পালন করে উলটো ভূমিকা। মানুষকে রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্ত ও উত্তেজিত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা চালিয়ে গণকণ্ঠ, হক কথা ও হলিডের মতো পত্রিকা রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উত্তপ্ত করে তুলেছিল। চুয়াত্তরে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ। ওই সময় ইত্তেফাক বাসন্তী নামের এক নারীর জালপরা ছবি ছেপে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বড় ভূমিকা পালন করে। পরে এটি জানা গেছে যে, ছবিটি ছিল সাজানো। সরকারকে বিব্রত করার কৌশল হিসাবে পরিকল্পিতভাবে ওই ছবি ছাপা হয়েছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির উলটোযাত্রা শুরু হয়। এখন রাজনীতিকে আর অনেকেই মানবকল্যাণের ব্রত মনে করে না। রাজনীতি অনেকের কাছেই হয়ে উঠেছে ভাগ্য বদলের ব্যবসা। সংবাদপত্রও কি লক্ষচ্যুত হয়ে পড়েনি? দেশে এখন রাজনৈতিক দলের সংখ্যা যেমন অনেক, তেমনি সংবাদপত্রও অসংখ্য। সব রাজনৈতিক দল যেমন মানুষের স্বার্থে কথা বলে না, সব সংবাদপত্রও কি সঠিকভাবে জনগণের পক্ষে আছে? দেশের রাজনীতি যেমন বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত, তেমনি সংবাদপত্রও নানা মতের প্রতিনিধিত্ব করছে। সরকার স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে বলেও অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, রাজনীতি কি সঠিক ধারায় চলছে? গণতন্ত্রের জন্য হাহাকার যারা করেন, তারা নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে কতটা গণতান্ত্রিক আচার-আচরণে অভ্যস্ত? কথায় আছে, ‘আপনি আচরি ধর্ম, অপরে শেখাও’। স্ববিরোধীপ্রবণতা কোথায় নেই? ব্যক্তি থেকেই তো সমষ্টি। জন থেকেই জনতা। এ বোধের চর্চা কি সংবাদপত্রে আছে? আমি তো এর ঘাটতিই বেশি দেখি।
দেশ এখন রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। সবাই নিজের মত চাপিয়ে দিতে চায় বেপরোয়াভাবে, অন্যের মতের প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধা না দেখিয়ে। সেজন্য রাজনীতিতে সদাচার ও শিষ্টাচারের অভাব প্রকট। রাজনীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাবশালী মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি যে কথা বলেছেন, আমি তার সঙ্গে একমত পোষণ করি। তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতিকরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেনি। আমরা যারা রাজনীতি করি-এ ব্যর্থতা, দায় আমাদের। এটি স্বীকার করতেই হবে। শেখ হাসিনা একদিনে একশ সেতুর উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু রাজনীতিতে আমরা কোনো সেতু নির্মাণ করতে পারিনি। রাজনৈতিক কর্মসম্পর্কটা আমাদের থাকা উচিত ছিল। এভাবে গণতন্ত্র বাঁচতে পারে না। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। আমাদের দেশে এখানেই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। কারণ, আমরা নষ্ট রাজনীতির কাছে বারবার আত্মসমর্পণ করি। নষ্ট রাজনীতি নষ্ট মানুষের জন্ম দেয়। নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে। বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছে ঠিক তাই। এত বিভক্ত রাজনীতি! এর জন্য তো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি।’
হ্যাঁ, আমরা কেউ কেউ হয়তো কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি। কিন্তু কোথায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রেরণা অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা? গণতন্ত্র, উদারতা, সমতার চেতনা কি অনুসরণ করা হচ্ছে? ইনসাফ না থাকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি থাকে? সবকিছু কীভাবে নষ্ট হলো, কীভাবে সবকিছু নষ্টদের দখলে গেল? এ অবস্থাও নিশ্চয়ই একদিনে তৈরি হয়নি। একদিকে দেশ সমৃদ্ধির পথে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে দেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছে। অন্যদিকে আবার নীতি-নৈতিকতার ঘটছে চরম অবক্ষয়।
রাজনীতিকে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে আমাদের অন্য সব অর্জন নিয়ে অহংকার করার কিছু থাকবে না। ‘বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট’ বলে একটি কথা আছে। এ অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়ার বড় হাতিয়ার হতে পারে সংবাদপত্র। এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই-অবস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কথা সবার আগে সংবাদপত্রের। যুগান্তর তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আশা করি সেই ভূমিকা পালনে নিজ অঙ্গীকার আরও জোরালো করবে।
মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ, লেখক, কলামিস্ট ও মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ
