নুরুল ইসলাম যুগান্তরের সাহসী ভূমিকার ভিত্তি রচনা করে গেছেন: সাইফুল আলম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:০১ পিএম
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম বলেছেন, আজকের এই দিনে আমরা বিশেষভাবে স্মরণ করছি যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে। যিনি যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং এই প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকাণ্ডের অনুপ্রেরণা। যুগান্তরের সাহসী ভূমিকার ভিত্তি রচনা করে দিয়েছেন তিনি।
মাতৃভাষার মাস মহান ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে বুধবার দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সাইফুল আলম। এর মধ্য দিয়ে ২৩ পেরিয়ে ২৪ বছরে যাত্রা শুরু করল পত্রিকাটি।
সাইফুল আলম আরও বলেন, এ দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাগজ দৈনিক যুগান্তর। সত্য প্রকাশের ব্যাপারে সব সময় আপসহীন ছিল এই প্রতিষ্ঠান। যুগান্তর সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলে। যুগান্তর মানুষের কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলে। সেই চেতনা থেকে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে এ প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করেছিল। এটি আমাদের প্রয়াত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের অনেক চিন্তার একটি ফসল। এ কারণেই যুগান্তরের আজকের এ অর্জন।
যুগান্তর সম্পাদক আরও বলেন, যুগান্তরের দুই যুগ উপলক্ষ্যে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১০ দিন যুগান্তরে বাংলাদেশের সব খাতের শীর্ষ ব্যক্তিদের শুভেচ্ছা বাণী ছাপা হবে। ইতোমধ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়া যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করেন তাদের সবাই যুগান্তরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, আইনজীবীসহ সব খাতের শীর্ষ ব্যক্তিরা বাণী দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সত্য আমাদের শক্তি। নুরুল ইসলাম সাহেবের সাহস শিক্ষা ও দিক নির্দেশনায় এটি আমরা অর্জন করেছি। তিনি বলেন, আমরা সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, গণতন্ত্র ও প্রগতির পক্ষে। অন্যায় অত্যাচার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুগান্তর হবে নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের হাতিয়ার। এটাই আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার।
যুগান্তর সম্পাদক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুগান্তরের সব কর্মী, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বক্তৃতা করেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম, যমুনা গ্রুপের পরিচালক (ফাইন্যান্স) আবদুল ওয়াদুদ, যমুনা গ্রুপ পরিচালক সারিয়াত তাসরিন সোনিয়া ইসলাম, মনিকা নাজনীন ইসলাম ও সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ড. আলমগীর আলম, যুগান্তরের উপসম্পাদক আহমেদ দীপু, এহসানুল হক বাবু ও বিএম জাহাঙ্গীর; প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান, প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম প্রমুখ। যুগান্তরের সব বিভাগীয় প্রধান ও কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে দৈনিক যুগান্তর। খুব অল্প সময়ে পাঠকের মন জয় করে নেয় পত্রিকাটি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের ফলে দেশের সংবাদপত্রে শীর্ষস্থানে পৌঁছতে খুব বেশি সময় নিতে হয়নি। এখনো সেই অবস্থান ধরে রেখেছে যুগান্তর।
