|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডটি যুগ যুগ ধরে বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের শিকার। কখনো ষড়যন্ত্র করেছে রাজ্যলিপ্সু দস্যুরা, কখনো করেছে সাম্রাজ্যবাদীরা, কখনো করেছে ভিনদেশি বেনিয়াগোষ্ঠী, আবার কখনো কখনো করেছে স্বদেশি বিশ্বাসঘাতকরা। তবে বাইরের বা ভেতরের ষড়যন্ত্র কখনো স্তব্ধ করে দিতে পারেনি অদম্য বাঙালিদের চলার গতি। শুধু এদেশেই যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে তা নয়। হয়েছে বহু দেশে, সারা বিশ্বে সেই আদিকাল থেকেই যখন মানবজাতি এক গোত্র থেকে বেরিয়ে ভিন্ন ভিন্ন গোত্রে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে। মানবজাতির ইতিহাস থেকে জানা যায়, কলির যুগ চলছে নাকি পাঁচ হাজার বছর ধরে। আরও নাকি চলবে চার লাখ বত্রিশ হাজার বছর। এর আগে ছিল প্রায় নয় লাখ বছরের ব্যাপ্তিকাল নিয়ে দ্বাপর যুগ; এর আগে তের লাখ বছরের ত্রেতা যুগ এবং আরও আগের সত্য যুগ, যার সময়কাল ছিল সতের লাখ বছর। মানুষের অস্তিত্বের এত দীর্ঘ সময়ে গোত্রে গোত্রে যুদ্ধবিগ্রহ লেগেই থাকত, কে কাকে কীভাবে ধ্বংস করবে তা নিয়ে চলত নিত্যভাবনা।
সে সময়েই ষড়যন্ত্র নামক বিষয়টির আবির্ভাব। ষড়যন্ত্র হতো ঘরের ভেতরে, অন্দর মহলে, ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তৃত হতো ঘরের বাইরে অন্য কোথাও। ষড়যন্ত্র হতো পরিবারের কর্তৃত্ব দখলের জন্য; লুটতরাজ করে অন্যের সম্পদ হস্তগত করার জন্য; হতো সাম্রাজ্য কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে। দূর অতীতের ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি, রাজপরিবারে একে অন্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে। ভাই বিভীষণ ষড়যন্ত্র করেছে রাবণের বিরুদ্ধে, দুর্যোধন করেছে আপন ভ্রাতৃবর্গ পঞ্চপাণ্ডবের বিরুদ্ধে, বিশ্বাসী সহচর ষড়যন্ত্র করেছে যিশুর বিরুদ্ধে, সৎভাইয়েরা ষড়যন্ত্র করেছে হজরত ইউসুফের বিরুদ্ধে। ইয়াজিদের বাবা ষড়যন্ত্র পাকিয়েছে হজরত আলীকে সরানোর লক্ষ্যে আর ইয়াজিদের ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য ছিল ইমাম হাসান আর হোসেন। ষড়যন্ত্রের কালনাগিনী গ্রাস করে ফেলেছিল সমগ্র বিশ্বকে।
রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আরও অনেক ঘটনা আমরা জানতে পারি ইতিহাস থেকে, অনেক দূর অতীতের এবং সদ্য-অতীতের। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫৫ থেকে ১৫৫০ পর্যন্ত সময়ে ফারাওদের রাজত্বকাল ছিল রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের সূচনালগ্ন। প্রথম দিকের ষড়যন্ত্রের ফলশ্রুতিতে রাজা কামোজ কুসাইট ও হাইকসোস রাষ্ট্র দুটোকে পদদলিত করে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৪ সালের রোমান রিপাবলিককে পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে পরিচালিত ষড়যন্ত্রে নিহত হয় জুলিয়াস সিজার, ৬৫ খ্রিষ্টাব্দে রাজন্যবর্গ কর্তৃক রোমান সম্রাট নিরোর বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় পিসোনিয়ান ষড়যন্ত্র নামক বিশাল ষড়যন্ত্র। এরপর আমরা দেখতে পাই ১৪৭৮ সালের ‘পাজ্জি ষড়যন্ত্র’ যা করা হয়েছিল ফ্লোরেন্সের শাসক পাজ্জি পরিবারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর উদ্দেশ্যে। ১৫০৬ সালে ডিউক অব ফিরারার বিরুদ্ধে সৎভাই গিউলিও পরিচালনা করে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থান। ১৫৬৯ সালে ইংল্যান্ডের রানি ১ম এলিজাবেথকে তাড়িয়ে স্কটল্যান্ডের রানি মেরিকে সিংহাসনে বসানোর বাসনায় রিডলফি নামক একজন ব্যাংকারের গভীর ষড়যন্ত্র ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ১৫৮৩ সালেও এলিজাবেথকে উৎখাতের লক্ষ্যে পরিচালিত হয় থ্রকমরটন নামক ব্যর্থ ষড়যন্ত্র। ১৫৮৬ সালে বেবিংটন ষড়যন্ত্র নামক আরেকটি ব্যর্থ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয় রানি এলিজাবেথের কাজিন স্কটল্যান্ডের রানি মেরিকে ইংল্যান্ডের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করার জন্য, যার পরিণতিতে মেরির ভাগ্যে জোটে মৃত্যুদণ্ড। ১৬০৩ সালে রাজা প্রথম জেমসকে সরিয়ে তার কাজিন আরবেলা স্টুয়ার্টকে সিংহাসনে বসানোর জন্য জর্জ হেনরি ব্রুক স্প্যানিস সরকারের আর্থিক সহায়তা নিয়ে এক ষড়যন্ত্র করে, পরিণতিতে ব্রুক প্রাণ হারায়। ১৬০৫ সালে ব্রিটিশ হাউজ অব লর্ডস উড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি ষড়যন্ত্র করা হয়, যা ‘গানপাউডার ষড়যন্ত্র’ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৭৪৯ সালে মাল্টা দ্বীপ দখলের জন্য দেশটির শাসকের বিরুদ্ধে মুসলিম দাসদের গোপন বিদ্রোহের ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়, ষড়যন্ত্রকারীদের দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড। ১৭৮৮ সালে রাশিয়ার গুস্টাভ-৩ এর রাশিয়ান যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটানো এবং তৎকালীন ফিনল্যান্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আঞ্জালা ষড়যন্ত্র ছিল কতিপয় বিক্ষুব্ধ সুইডিস কর্মকর্তার উদ্যোগের ফসল। আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনসহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট) ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে হত্যার লক্ষ্যে মঞ্চ-অভিনেতা জন বুথের নেতৃত্বে পরিচালিত ষড়যন্ত্রে আব্রাহাম লিঙ্কন নিহত হন। পরে সব ষড়যন্ত্রকারীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
১৮৯৮ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে অনেক ষড়যন্ত্র আর অভ্যুত্থান হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রান্সের ডিফ্রুস ঘটনা (১৮৯৪), সার্বিয়ার রাজা-রানিকে হত্যা করার জন্য ‘ব্ল্যাক হ্যান্ড’ নামক ষড়যন্ত্র (১৯০৩)। পোল্যান্ড আক্রমণের ছুতা হিসাবে ব্যবহৃত জার্মানির অপারেশন হিমলার (১৯৩৯)। নিজেদের একটি সীমান্তবর্তী গ্রামে নিজেরাই গুলি মেরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে সীমান্ত দেশ ফিনল্যান্ডের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে রাশিয়া কর্তৃক ফিনল্যান্ড আক্রমণ করার ষড়যন্ত্র (১৯৩৯)। হিটলারকে মারার জন্য এন্টি-নাজি ষড়যন্ত্র (১৯৪১), হিটলারের ওপর আঘাত হানার জন্য স্যুটকেস বম্ব ষড়যন্ত্র (১৯৪৪); ইরানের প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেককে সরিয়ে দিয়ে বাদশাহ রেজা শাহ পাহলভীর হাত শক্তিশালী করার জন্য পরিচালিত যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত ইরানি অভ্যুত্থান (১৯৫৩)।
ইতিহাস-পাঠকদের জানা আছে, ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিল এককালের বিশাল দেশ ভারতকে আর বিংশ শতাব্দীর তুর্কি খিলাফতকে। ষড়যন্ত্র নামক দানবটি কখনো ইতিহাসকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়নি। চলছে তো চলছে, চলবে অনাদিকাল ধরে। ব্রিটিশরা আমাদের ছেড়ে দিয়ে চলে গেলেও রেখে গেছে কাশ্মীর; যা তাদের সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের এক জীবন্ত সাক্ষী।
এককালের পূর্ব পাকিস্তান আরেকটি ব্রিটিশ ষড়যন্ত্রের ছেঁড়া দলিল। ষড়যন্ত্র ফণা তুলে ছোবল দিয়েছে স্বাধীন ভুখণ্ড বাংলাদেশের বুকেও। তার জঘন্য নজির সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। স্বাধীনতাপ্রিয় বাঙালিদের হৃদয়ের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নেওয়া সেই মহামানব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি যিনি স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনতে গিয়ে সারাটা জীবন অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। পাকিস্তানি শাসকদের পরিকল্পিত ‘আগরতলা মামলা’ ছিল বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে একটি স্বৈরাচারী ষড়যন্ত্র। এ মামলার মাধ্যমে তারা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানোর অপচেষ্টা চালিয়েছে। সত্তরের নির্বাচনে সংসদে প্রায় সব আসনে জয়ী হওয়ার পরও ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়ার পথে বাধার সৃষ্টি করেছে। ষড়যন্ত্রের পথ ধরে সাত কোটি বাঙালির ওপর আঁধার রাতে হায়েনার ক্রুরতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শেষ পর্যন্ত ষড়যন্ত্রের পাতা জালে জড়িয়ে নিয়ে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিয়েছে পঁচাত্তরে। স্বাধীন দেশে থেকেও খন্দকার মোশতাকের মতো ঘরের শত্রু বিভীষণদের ষড়যন্ত্রের কারণে তাকে বরণ করতে হয়েছে মর্মান্তিক পরিণতি। বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা সবই ষড়যন্ত্রের ফল। তারা নিভিয়ে দিয়েছে হাজারো লক্ষ আশার জ্বলন্ত প্রদীপ।
আমরা ভুলিনি ১৯৭৩-৭৪-এ বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ থেকে খসে পড়া ভগ্নাংশ দলের পরিচালিত ষড়যন্ত্র; সামরিক শাসনামলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিজ দেশে ফিরতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্র; এক-এগারো-পরবর্তী ‘মাইনাস ফর্মুলা’র ষড়যন্ত্র; পদ্মা সেতু নিয়ে দেশি-বিদেশিদের ষড়যন্ত্র; বঙ্গকন্যার ওপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র; সারা দেশে একযোগে স্বাধীনতাবিরোধীদের বোমা হামলার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র; অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে অকার্যকর করে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র; এবং আরও অনেক প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫-এর আগস্টে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা সেখানেই থেমে থাকেনি। ঘূর্ণিপাক খেতে খেতে মোচড়ানো বাতাসের ঢেউ তুলে তা সমগ্র আকাশে বিস্তৃত হয়েছে এবং দিন দিন হচ্ছে বিস্তৃততর। অশুভ শক্তি ক্ষমতায় এসে শুরু করে দিল স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রশ্রয় দেওয়া আর তাদের রাষ্ট্রীয় পদে অধিষ্ঠিত করার ন্যক্কারজনক তৎপরতা। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়েও চলে তাদের অপতৎপরতা। মুক্তিযুদ্ধের সময়কালেও ষড়যন্ত্র হয়েছে। তার প্রথম নজির ১৯৭১-এর ৫-৬ জুলাই শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত দলীয় সভায় মিজানুর রহমান চৌধুরীর প্রকাশ্যেই প্রধানন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি। এইচটি ইমামের অভিজ্ঞতাসঞ্জাত গ্রন্থ ‘বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১’ থেকে জানা যায়, প্রকৃতপক্ষে এপ্রিলের পর থেকেই নানারকম ষড়যন্ত্র দানাবাঁধতে শুরু করে। তাজউদ্দীনের নেতৃত্ব মেনে না নিয়ে খন্দকার মোশতাক আরও কিছু নেতাকে সঙ্গে নিয়ে উদ্যোগ নেয় পাকিস্তানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার। একটি পরাশক্তির মাধ্যমে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আপস ফর্মুলায় যাওয়ার চেষ্টা। এখনো চলছে বহুমুখী ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। কেউ করছে বিদেশে বসে আর কেউ কেউ করছে স্বদেশে বসে অগ্রগতির মহাসড়কে চলতে থাকা দেশটাকে বাধাগ্রস্ত করতে। ষড়যন্ত্রের কৃষ্ণঘোড়াকে থামানোর উদ্যোগ এখনি না নিলে বিশাল ‘মহামারি’ শুরু করতে ‘ওরা’ বিলম্ব করবে না।
ষড়যন্ত্রের উদ্ভব হয় লোভ, লালসা, হিংসা, ঘৃণা, প্রতিশোধস্পৃহা, উচ্চাভিলাষ, শত্রুতা, সম্পদ গ্রাস, পদ দখল কিংবা পদ থেকে সরানো, পরশ্রীকাতরতা, সুবিধাবাদী মনোবৃত্তি এবং অন্যান্য অশুভ উদ্দেশ্য থেকে। তবে উদ্ভবের সূত্র যা-ই হোক না কেন, ষড়যন্ত্র যখন বা যেখানেই হোক না কেন, তা শেষ পর্যন্ত আবর্জনার স্তূপে কিংবা তোশকের তলায় লুকিয়ে রাখা যায় না। তার প্রকাশ ঘটবেই, হবেই দৃশ্যমান এক সময়। ষড়যন্ত্রের মনোবৃত্তি শুধু আত্মাকেই কলুষিত করে না, ইহকাল-পরকাল দুটোকেই ধ্বংস করে দেয়। মানুষের ঘৃণার আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয় ষড়যন্ত্রকারীরা। লেখাটা শেষ করছি একটা ছোট্ট গল্প দিয়ে। একটি দেশের রাজা তার রাজ্যে সুনসান শান্তি দেখে ঘোষণা করলেন যে, আগামী পাঁচ বছর দেশে কোনো কারাগার থাকবে না। তিন বছর পর পর্যালোচনা করে খুঁজে পেলেন একজন চোর, সাঙ্গাতসহ একজন ডাকাত এবং একজন ষড়যন্ত্রকারী। তিনি ভাবলেন, চোর আর ডাকাতকে আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করে দিলে তাদের শোধরানো যাবে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীকে যতই শোধরানোর ব্যবস্থা করা হোক না কেন, আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করবে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। তিনি চোরটির জন্য ব্যবস্থা করলেন একটি কাজের আর ডাকাত ও তার সঙ্গীদের জন্য পর্যাপ্ত জমির। ষড়যন্ত্রকারীকে দিলেন দ্বীপান্তর।
লেখক : সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়; অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
