Logo
Logo
×

২ যুগে যুগান্তর

কৃষি উন্নয়ন এবং প্রাসঙ্গিক ভাবনা

Icon

মইনুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০৫ এএম

কৃষি উন্নয়ন এবং প্রাসঙ্গিক ভাবনা

সম্প্রতি খাদ্য ও কৃষিসংস্থা বাংলাদেশের খাদ্যের জোগান, উৎপাদন হ্রাস, আমদানি খরচ ও অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্যঘাটতির ৪৫ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। কোভিডের কারণে দারিদ্র্যবৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের আয় কমেছে। বন্যা ও অনাবৃষ্টির কারণে ২০২২ সালে খাদ্যের উৎপাদন ৪ শতাংশ কম হয়েছে। ব্রির গবেষণায় এ ঘাটতি ২৫ লাখ টন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বস্তুতপক্ষে খাদ্যঘাটতির এ প্রবণতা গত কয়েক বছর ধরেই চলছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি ব্যবসায়ীদের ১৫ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে চাল আমদানি ত্বরান্বিত করতে মন্ত্রী, সচিব এবং কর্মকর্তাদের ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সফরে যেতে হয়েছে। লক্ষ করা গেছে, বেসরকারি পর্যায়ে চাল ও গম আমদানির পরও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। খোলাবাজারে ভরা মৌসুমেও চালের মূল্য কমছে না; বাজার অস্থির। এ অস্থিরতার কারণ একশ্রেণির মিলমালিক ও ব্যবসায়ীদের কারসাজি, সেটি সরকারের নীতিনির্ধারকরা স্বীকার করলেও, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। 

এদের জোট শক্তিশালী। শুধু চালের ক্ষেত্রে নয়, এ অশুভ পাঁয়তারা আমরা দেখেছি আলু, পেঁয়াজ, চিনি ও ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে। ব্যবসায়ীদের এ জোট সর্বজনবিদিত। এসব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এ জোটসদা সক্রিয় এবং সুযোগমতো ভোক্তাদের ঘাড়ে চেপে বসে। আমাদের বাজারব্যবস্থায় সমস্যা প্রচুর। বাজারে সরকারি তদারকি সামান্য। নেহায়েত সংকটকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে বাজার তদারককারী কিছু লোককে কয়েকদিন বাজারে এসে হম্বিতম্বি করতে দেখা যায়, তারপর যথাতথা। সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়ে বেসরকারি খাতে চাল আমদানির সুযোগ দিয়ে বাজারে সরবরাহের ভারসাম্য রাখতে তৎপর হয়েছিল, তবে কাজ হয়নি। চালমালিকরা চালের মজুত তাদের মুঠোয় ধরে রেখেছিলেন এবং সময়মতো বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে সংকটকালে সরকার নিত্যপণ্যের মূল্যও নির্ধারণ করে দিয়েছে; কিন্তু আমাদের বাজারব্যবস্থায় সেই দ্রব্যমূল্য গ্রহণযোগ্য হয়নি। বাজার থেকে পণ্য উধাও হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দিতে বাধ্য হয়েছেন। দেখা গেছে, দেশে ফসলের বাম্পার ফলন, একজন কৃষকের জন্য যতটুকু গর্বের, তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্টের। জামালপুরের মরিচের বাম্পার ফলনে মরিচচাষিরা নামমাত্র মূল্যে মরিচ বিক্রি করতে বাধ্য হন। ঠাকুরগাঁওয়ে আলুচাষিরা উৎপাদিত আলু বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তুলতে পারেন না। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে চালকলমালিক এবং ব্যবসায়ীদের জোট এবং অপতৎপরতা আইন ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

দেশে উৎপাদন ঘাটতির জন্য প্রায় প্রতি বছরই চাল আমদানি করতে হচ্ছে, সঙ্গে গম। আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা একটি বড় পরিসরে এ দুই দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং, আমাদের আবাদি জমি এবং প্রয়োজনীয় উপকরণের সরবরাহ ও সহায়তার মাধ্যমে এ দুই খাদ্যশস্যের সর্বোত্তম উৎপাদন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

কৃষক কৃষি উপকরণ বণ্টনে অনিয়ম নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ করেন। দুর্নীতির ঘুণেপোকা যাতে বণ্টন প্রক্রিয়াকে অস্বচ্ছ আর ভঙ্গুর করে না তোলে, সেজন্য ডিলারদের কারসাজি ও অপতৎপরতা ঠেকাতে হবে। ঠাকুরগাঁও সর্বোচ্চ গম উপাদনকারী জেলা। সেখানে ডিলারদের অনিয়মের কারণে বাড়তি গমচাষিদের বাড়তি দাম দিয়ে গমবীজ কিনতে হচ্ছে; ফলে স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় গমচাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় থাকেন। পাবনার সুজানগরে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বীজ ও সার আত্মসাৎ করার অভিযোগ মিডিয়ায় এসেছে। সেচের পানি সরবরাহে অনিয়মের প্রতিবাদে রংপুরে দুই কৃষকের আত্মহত্যার গল্প সবার-ই জানা। খাদ্যশস্যের আমদানিনির্ভরতা কমাতে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। সরকার প্রদত্ত উপকরণ এবং সহায়তা; যথা-সার, বীজ, জ্বালানি, ঋণ ও প্রণোদনা সেবাগুলো যাতে পরিপূর্ণ ও অক্ষতভাবে উৎপাদক কৃষকের হাতে পৌঁছায়, তার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। দুর্নীতিবাজ এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের সব অনিয়ম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।

ভৌগোলিকভাবে আমাদের দেশটি খুবই ছোট। সেই তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। মাথাপিছু জমির জোগান যৎসামান্য। মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণও কম। তারপরও ফি বছর আমাদের আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। ভূমিখেকো, আবাসন ব্যবসায়ী আর বালুখেকো প্রভাবশালী ইজারাদারদের প্রবল প্রতাপ। এদের লোলুপ থাবায় কৃষিজমি তছনছ হচ্ছে। ফরিদপুরের জাজিরা এলাকায় বালু তোলার কারণে কৃষিজমি বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে মানববন্ধন করতে হয় ভুক্তভোগী কৃষকের। বাণীশান্তার ৩০০ একর তিন ফসলি জমি বালুচাপা দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়েছেন কৃষক। দেশের এ বিরাট জনগোষ্ঠীকে আহার জোগানোর জন্য আমাদের আবাদি জমিকে সুরক্ষা দিতে হবে। দেশের পতিত জমি চাষের আওতায় আনার জন্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আশা করা যায়, দেশের মোট আবাদি জমি ও কৃষি উৎপাদন দুটোই বাড়বে।

অপরিকল্পিত নগরায়ণ, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার প্রসার, অদূরদর্শী ইজারা ব্যবস্থা, ইটভাটা স্থাপনার দূষণ, নদীভাঙনসহ ইত্যাদি কারণে প্রতি বছরই আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস পায়। আবাদি জমির পরিমাণ এভাবে হ্রাস পেতে থাকলে প্রযুক্তি দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর প্রচেষ্টা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, সেটি ভাবার বিষয়। কারণ, প্রযুক্তিরও সীমাবদ্ধতা আছে; আছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। বোরো চাষে ব্যাপক হারে জলসেচের কারণে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নামছে, উঠে আসছে আর্সেনিকের মতো বিষ। বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্যের জোগান বজায় রাখতে আহার হাইব্রিড, তথা জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফসল উৎপাদনে জোর দিতে হচ্ছে। ধীরে হলেও প্রকৃতি, পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব তো পড়ছেই।

আমাদের খাদ্যের ৯৫ শতাংশ মাটির ঔরসজাত। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আবাদি জমির ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। ফলে কমছে মাটির প্রাকৃতিক জৈব, নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মতো অতিপ্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপাদান। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আইলা, সিত্রাংয়ের মতো ঝড়ের তাণ্ডবে আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাড়ছে লবণাক্ততা। আছে অম্লত্ব ও ক্ষারত্বের সমস্যাও। জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের কারণে উপকূলীয় উপজেলা কয়রার বসত ও ফসলি জমি জলাবদ্ধতা এবং লবণাক্ত হয়ে পড়ায় নিরুপায় কৃষক পরিবারগুলো গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র স্থানান্তর হতে বাধ্য হয়েছে। মাটির সুস্বাস্থ্য, পুষ্টিগুণাগুণ সমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য অপরিহার্য। কৃষকের জ্ঞান ও দক্ষতাকে সম্পৃক্ত করে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই মাটিব্যবস্থাপনা কৌশল নিতে হবে, যাতে মাটির উৎপাদনশীলতা ধরে রাখা যায়। এটি সময়সাপেক্ষ দীর্ঘমেয়াদি কর্মযজ্ঞ হলেও এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

চাষাবাদের যারা কারিগর, তারা অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও পারিবারিক কৃষির পরিসরে যুক্ত। প্রাকৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বাজারভিত্তিক বিভিন্ন ঝুঁকির ভেতর তাদের ফসল উৎপাদন করতে হয়। অনেক চাষি-ই এখন এসব ঝুঁকি নিতে অপারগ। গেল কয়েক বছর ধরে ফসল লাগানো, পরিচর্যা এবং তোলার সময় বিভিন্ন এলাকায় কৃষি শ্রমিকের অভাব এ আশঙ্কাকে ক্রমেই স্পষ্ট করে তুলছে। বিদেশযাত্রা, মেগাপ্রকল্প এবং গড়ে ওঠা শিল্পাঞ্চলগুলোতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এ কারিগররা এখন কৃষি থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছে।

এদের অনেকেই এখন প্রসেসিং কারখানার লেবাসধারী শ্রমিক। অনেকেই পোশাক কারখানায় পোশাক সেলাই করছে অথবা কোনো মেগাপ্রকল্পে নতুন কোনো পেশায় যুক্ত হয়েছে। উন্নয়নের প্রয়োজনে মানবসম্পদের চাহিদা এবং উপার্জনের নিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকের গ্রাম থেকে শহরমুখী এই যে অভিযাত্রা, সেটি সম্ভবত চলমান থাকবে। এতে গ্রামের কৃষি শ্রমিকের যে সংকট দেখা দিচ্ছে না এটি অস্বীকার করার উপায় নেই এবং সেটি আমরা ইতোমধ্যেই অনুধাবন করতে পারছি। নীতিনির্ধারকরা ভাবছেন শ্রমিকঘন কৃষির যান্ত্রিকরণ হলে এ সমস্যা প্রশমনের একটা উপায় হতে পারে। এ প্রচেষ্টা চলমান। তবে আমাদের প্রচলিত আবহে এবং চাষাবাদ পদ্ধতিতে কৃষির যান্ত্রিকরণের প্রচেষ্টা এ পরিস্থিতি কতটুকু সামাল দিতে পারবে, সেটি সময়-ই বলে দেবে।

কেবল ক্ষুধা নিবৃত করাই খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ নয়। খাদ্যশস্য উৎপাদন ও বাজারজাত প্রক্রিয়ায় নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্যনিরাপত্তা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। খাদ্যসামগ্রী যেমন সাধারণ মানুষের নাগাল ও সামর্থ্যরে মধ্যে রাখা উচিত, তেমনি আমরা যা গলধকরণ করছি সেটি অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। বৈশ্বিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমতির দিকে গেলেও আমাদের বাজারে সে খবর যেন পৌঁছায় না। ভোগ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখীই থাকে। মানুষের আয় কমে। দেশে মানুষের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ার মতো একটি পরিস্থিতি বিরাজমান। এ রকম আর্থিক সংকট সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। টিসিবির সুলভপণ্যের জন্য মানুষের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে দেখা যায়। ওএমএস বণ্টন কার্যক্রম রাজধানী ও শহরকেন্দ্রিক। তুলনামূলকভাবে গ্রামের মানুষ বেশি খাদ্য সংকটে আছে। এ সেবা তাদের কাছে পৌঁছানোর উপায় নিয়ে ভাবার প্রয়োজন আছে।

খাদ্যসামগ্যীর দাম বাড়তে থাকলে অনেকেই খাদ্যসামগ্রী কেনার পরিমাণ কমিয়ে দেন অথবা পুষ্টিকর খাবার কেনা কমিয়ে অপেক্ষাকৃত কম পুষ্টিকর খাবার কেনার দিকে ঝুঁকে পড়েন। পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবারের অভাব একজন মানুষকে সুস্থভাবে বেড়ে উঠার সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই পুষ্টিনিরাপত্তা রক্ষা করার সম্ভাব্য উপায়গুলো খুঁজে বের করতে হবে। দেশে জিংকসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন জনসাধারণের পুষ্টিনিরাপত্তায় অবদান রাখতে পারে। এ জাতীয় ধান থেকে আহরিত বায়োফোর্টিফায়েড চালের উপকারিতা সম্পর্কে কৃষককে অবহিত করা প্রয়োজন। উৎপাদন এবং বিপণনে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের যুক্ত করতে পারলে বায়োফোর্টিফায়েড চালের প্রসার এবং জনপ্রিয়তা বাড়ানো সম্ভব; যা জনস্বাস্থ্যে পুষ্টির অবদান বৃদ্ধি করবে।

নিরাপদ খাদ্য নাগরিকের অধিকার। তবে এ অধিকারে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের হস্তক্ষেপ লেগেই আছে। নিত্যপণ্য এবং খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল ও দূষণের মাত্রা খুবই উদ্বেগজনক। মিডিয়ায় এসব নিয়ে ভয়ানক সব প্রতিবেদন আমরা প্রায়ই দেখছি। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কাঁচা টমেটো পাকানোর জন্য যেসব কীটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহৃত হচ্ছে, তা মানবস্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর। জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতে এ বিষ-ই আমাদের গিলতে হচ্ছে। মাছ ও মুরগিকে দেওয়া নিম্নমানের খাবারে থাকা দূষিত পদার্থ ভোক্তার শরীরে সংক্রামিত হচ্ছে। ভেজাল আর রাসায়নিক মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণে আমাদের শরীরে বাসাবাঁধছে প্লাস্টিক, সিসা, ক্রোমিয়ামের মতো বিষ বর্জ্য। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েও এসব থামানো যাচ্ছে না। এর জন্য আইনের সংশোধনসাপেক্ষে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

আমাদের কৃষির আরেকটি চ্যালেঞ্জ জলবায়ুর ঝুঁকি। জলবায়ুর পরিবর্তনে সময়োপযোগী ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির শিকার হবে দেশের কৃষি, বন ও মৎস্যজীবী দরিদ্র জনগোষ্ঠী, যারা আমাদের জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ এবং যাদের অবদান আমাদের সমগ্র অর্থনীতিকে দিনকে দিন সমৃদ্ধ করে তুলছে। হ

লেখক : কথাসাহিত্যিক, অর্থনীতিবিদ

খাদ্য কৃষি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম