|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সংস্কৃতি বলতে কী বোঝায়? এ নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। কিন্তু ক্রমপরিবর্তনশীল যে প্রতীতি, তাকে ধরা বা ছোঁয়া কম কথা নয়। তাই সংস্কৃতির সংজ্ঞায়নের অভিপ্রায় বিমূর্তকে মূর্তমান করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। বলা হয়, সংস্কৃতি হলো মানুষের একটি গোষ্ঠীর জীবনযাপনের উপায়, যেখানে তাদের আচরণ, বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও ব্যবহার গৃহীত এবং তা প্রশ্নমুক্ত। প্রশ্নহীনভাবেই তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলছে। যেমন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে মরক্কো পরাজিত করায় আবেগে মরক্কোর খেলোয়াড় হাকিমিকে তার মা সায়দা মউ প্রকাশ্য মাঠে চুমু খান। সেই চুমু ছিল আবেগঘন এবং গভীর। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেটি। অন্য বহু সমাজে মা-ছেলের মধ্যে এমন দৃশ্য দেখা যাবে না। সংস্কৃতির দিক থেকে মরক্কোতে যা প্রশ্নহীন, ভারতীয় সমাজে তা প্রশ্নমুক্ত নয়। আবার পোশাক-পরিচ্ছদের দিক থেকে দু-দেশের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য। এ রকম হাজারটা প্রসঙ্গ তোলা যায়। আসলে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস, মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থ, শ্রেণিবিন্যাস, ধর্ম, সময়ের ধারণা, স্থানিক সম্পর্ক ইত্যাদি সংস্কৃতির পরিধি রচনা করে। তাই সংস্কৃতি হলো বৃত্তের ভেতরে বৃত্ত। যেমন, বাংলাদেশে সংস্কৃতির বড় বৃত্তের মধ্যে চাকমাদের একটি ছোটো বৃত্ত, গারোদের একটি ছোটো বৃত্ত, ত্রিপুরাদের ছোটো বৃত্ত আছে। আবার হিন্দু ত্রিপুরা, খ্রিষ্টান ত্রিপুরাদের সংস্কৃতির বৃত্তের মধ্যে আছে সামান্য হলেও পার্থক্য। ঠিক তেমনি পার্থক্য আছে বাঙালি হিন্দু আর বাঙালি মুসলিমদের মধ্যেও। এটিই বৃত্তের মধ্যে বৃত্ত। এই বাঙালি যখন ব্রিটেনে যায় তখন ভারতীয় বৃহৎ বাঙালির সংস্কৃতিটি যতোই বড় হোক, সেখানে গিয়ে তা অন্য বড় একটি বৃত্তে ঢুকে পড়ে। আসলে, বড় বৃত্তের মধ্যে ছোটো থেকে ছোটোতর বৃত্তই সংস্কৃতি; এটি একেবারে ব্যক্তির ইচ্ছাতে গিয়ে পৌঁছে। আর ব্যক্তির ইচ্ছাতে গিয়ে পৌঁছে বলেই এক থেকে অন্যকে পৃথক করা যায়। সংস্কৃতি ইচ্ছার স্বাধীনতা নিশ্চিত করে এবং তা স্বাতন্ত্র্য প্রকাশক।
সংস্কৃতির সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস, পোশাক-পরিচ্ছদ, জীবন ধারণের তো বটেই, ভাষার যোগটিও প্রবল। নাম চমস্কিকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: আপনি ভাষাবিজ্ঞানের নৃতাত্ত্বিক দিকটি নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছেন। আপনি কি মনে করেন, ভাষাবিজ্ঞান মানবপ্রকৃতি এবং সংস্কৃতির দার্শনিক সমস্যাগুলোর ব্যাপারে অবদান রাখতে পারে? এর উত্তরে তিনি বলেছিলেন: আমার অনুভূতি হলো, একজন মানুষ বা যে কোনো জটিল জীবের একটি জ্ঞানীয় কাঠামো রয়েছে, যা আমাদের শারীরিক অঙ্গগুলো বিকাশের যে পদ্ধতি আছে তার ওপর কার্যকর। এ পদ্ধতির একটি মৌলিক চরিত্র আছে এবং সেখানে তা সহজাত। এ মৌলিক রূপ জীবের জেনেটিক গঠন দিয়ে সাধারণভাবে নির্ধারিত হয়। মানতে হবে এবং অবশ্যই, সেটি নির্দিষ্ট পরিবেশগত অবস্থার অধীনে বৃদ্ধি পায় একটি নির্দিষ্ট ফর্ম ধরে নিয়ে। অবশ্য সামান্য কিছু ভিন্নতা স্বীকার্য বটে। মানুষের মধ্যে একটি স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং তা তার জ্ঞানীয় কাঠামো দিয়েই বিকাশ ঘটে। চমস্কি বলেছেন: সম্ভবত এ কাঠামোর মধ্যে সবচেয়ে জটিল হলো ভাষা। ভাষা অধ্যয়নের সময় মানুষ আমরা এই জ্ঞানীয় কাঠামোর অনেক মৌলিক বৈশিষ্ট্য, এর সংগঠন এবং জেনেটিক প্রবণতাও আবিষ্কার করতে পারে, যা এর বিকাশের ভিত্তি প্রদান করে। সুতরাং এক্ষেত্রে ভাষা, বলা চলে সর্বপ্রথম, মানুষের জ্ঞানীয় সংগঠনের প্রধান বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার চেষ্টা করে এবং দ্বিতীয়ত, আমি (চমস্কি) মনে করি এটি অন্যান্য জ্ঞানীয় কাঠামোর অধ্যয়নের জন্য একটি পরামর্শমূলক মডেল প্রদান করতে পারে। এ কাঠামোগুলো মানব প্রকৃতির একটি দিক এবং এর ওপরে নির্ভর করে মানুষের সংস্কৃতির বিরাট কিছু।
তাহলে ভাষাই সংস্কৃতির জিয়নকাঠি কিনা? আর সংস্কৃতি ধ্বংস করলে কোনো জাতিকে শোষণ করা সহজ হয় বোধ করি। পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ববাংলার ওপর কী অপচেষ্টা করেছিল, তা আজ ইতিহাস; সবাই কমবেশি জানেন। শিল্পকলা আর সংস্কৃতিবিকাশের উদার দেশ হিসাবে পরিচিত ফ্রান্সকে নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যায়, একদা ফরাসি উপনিবেশতাড়িত সেখানকার আদিবাসীরা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলেছিল তাদের ভাষার অধিকার। এ বিজিত জনগণের ইহজাগতিক সুবিধার জন্য ফরাসিরা তা করেছিল, এমন নয়। ঔপনিবেশিক শক্তি অধিকৃত দেশগুলোর জনজাতির মধ্যে জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতির ঝাঁকুনি তৈরি করেছিল। ফরাসি শাসনের সময় স্থানীয় ভাষাগুলোকে অসম্পূর্ণ প্রতিপাদনের মাধ্যমে সেগুলো যে ভাবপ্রকাশে অনুপযোগী, প্রথমে সেটা প্রচার করা হয়। তারপর ভাষাগুলোর জন্ম-মিথ ব্যাখ্যা করে তার মধ্যে একটি কলঙ্কিত রূপরেখা সৃজন করার মাধ্যমে সেগুলো বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী, এ ঘোষণা আসে। ফলে ফরাসি অধিকৃত অঞ্চলে শিক্ষার বিস্তার ঘটে বটে কিন্তু তা আদিবাসীদের ভাষায় নয়, ফরাসি ভাষায়। চাকরি, প্রতিষ্ঠা, আভিজাত্য অর্জন-সব কিছুতেই এ ভাষার বিস্তার দেখা যায়। মানুষের মধ্যে ফরাসি ভাষা শেখা এবং জাত-বদলের নেশা পেয়ে বসে। এভাবেই উপনিবেশ তাড়িত ও ফরাসি অধিকৃত অঞ্চল ও দেশগুলোতে সংস্কৃতির ছোটো বৃত্তগুলো বড় বৃত্তে মিলিয়ে যায়। আজ ফ্রান্স শিল্পকলা ও সংস্কৃতির উদার পীঠস্থান হিসাবে চিহ্নিত। কিন্তু এর উলটো দিকের গল্পটি খুব সুখের নয়। আরবি ভাষার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি খুব একটা ভিন্ন নয়। মুসলিমদের বিজয়াভিযান শুধু রাজ্যজয়ের মধ্যে থাকেনি, অন্তত সৌদি আরবকে কেন্দ্র করে দেশগুলোর ক্ষেত্রে। ইরাক, সিরিয়া, মিশর, লিবিয়া, সুদান, জর্দান, আলজিরিয়া, মরক্কো ইত্যাদি দেশের নিজস্ব ভাষা আজ প্রায় লুপ্ত এবং দেশগুলোতে আরবি ‘মাতৃভাষা’ হিসাবে গৃহীত। মধ্য এশিয়া, বিশেষত তুরস্ক ও ইরানের ভাষা ভিন্ন হলেও আরবি লিপিতে সেই ভাষা লেখা হয়।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও আফ্রিকার অনেক দেশে আরবি ভাষা স্থানীয় ভাষাকে খুবই প্রভাবিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে পুরো অঞ্চলের সংস্কৃতিও গেছে পালটে। ফলে, দেশ দখল বা মনোরাজ্য দখল, যেভাবেই হোক, মানুষের মুখের ভাষাটি বদলে দিতে পারলে সংস্কৃতি পালটে দেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। জোরের অস্ত্রই সংস্কৃতি বদলের স্থূল অস্ত্র হিসাবে পরিগণিত দেশে দেশে। তবে চমস্কি বলছিলেন আর এক কথা। বিগত কয়েক শতাব্দীর পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, অনুমান করার জোরের অস্ত্রের চেয়ে মানবপ্রকৃতি জীবের অবিলম্বে পর্যবেক্ষণযোগ্য শারীরিক গঠনে যেহেতু সীমাবদ্ধ তাই প্রকাশ্য জোরটির চেয়েও অন্তর্গত গতিটি বেশ কার্যকর। অবশ্য সেখানে তিনি ভাষাকে বাতিল না করে অবলম্বনই করেছেন। এ অন্তর্গত গতি মাটির তলদেশে প্রবাহিত অন্তঃশীলার মতোই কার্যকর। যদিও সেই প্রবাহ থেকেই মাটির ওপরে থাকা লতা-গুল্ম-বৃক্ষ সজীবতা পাচ্ছে, তবু সব কি একই রকমের সজীব? সজীবতার এ রকমফেরই সংস্কৃতির রং-বাহার।
সামাজিক মূল্যবোধও সংস্কৃতির একটি বড় উপাদান। প্রযুক্তি অর্থনৈতিক রূপান্তরের মাধ্যমে সামাজিক শ্রেণির বিবর্তনে সহায়তা যেমন করছে, তেমনি মানবিক এ মূল্যবোধের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। আন্তঃব্যক্তিক সংযোগ শক্তিশালী করতে প্রযুক্তি বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তবে, এটাতে মানবিকতার সংরাগ কতটুকু আছে, সেই প্রশ্ন তোলা যায়। এটি স্বাস্থ্য, পরিবহণ, বিদ্যুৎ ইত্যাদির ক্ষেত্রে যেমন ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত দেয়, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ততটা নয়। কারণ, সংস্কৃতিতে যূথবদ্ধতার ব্যাপারটি মুখ্য। কিন্তু আজ মানুষ প্রযুক্তিতে বেশি সময় এবং সামাজিক পরিবেশে কম সময় বিনিয়োগ করে। ঠিক এ মুহূর্তে টেলিভিশন আর সংবাদপত্রের পতন ঘটছে যদি বলি, তাহলে ভুল বলা যাবে না। কিন্তু এর পেছনে কী? পেছনে আছে প্রযুক্তি। তরুণসমাজ পত্রিকা, এমন কি টেলিভিশনের বদলে প্রযুক্তিসমেত স্মার্টফানকেই গ্রহণ করছে। আসলে একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রযুক্তি ও ঐতিহ্যের মধ্যে সবসময় কঠিন প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। বিশ্বায়নের মাধ্যমে প্রযুক্তি বিশ্বকে একটি বৈশ্বিক গ্রামে পরিণত করেছে। বিদ্যুৎ, পরিবহণ, যোগাযোগ ইত্যাদি ছাড়া আজকের জীবনের কল্পনা করা যায় না। এমনকি, একজন যুবক রাস্তায় চলছে কিন্তু তার পকেটে একটি স্মার্টফোন নেই, এটাও আজ ভাবা প্রায় কঠিন। আবার স্মার্টফোন আছে কিন্তু ইন্টারনেট সংযোগ নেই-এমনটাও চিন্তার বাইরে। এই যে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষ বাঁধা পড়ছে, এতে তৈরি হচ্ছে সংস্কৃতির আর এক বৃত্ত। এ বৃত্তটি একেবারেই নতুন; সাম্প্রতিক। সংস্কৃতির ওপর এ প্রযুক্তির প্রভাব অস্বীকার করার জো নেই। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক শেরি টার্কেল প্রযুক্তি ও মানবিক সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেন এবং তিনি দেখিয়েছেন, প্রযুক্তি থেকে মানুষ অনেক বেশি আশা করছে এবং সে তুলনাতে কমে যাচ্ছে এক অপরের প্রতি আশা। তিনি বলেছেন, মানুষ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে না, করছে প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি। সত্যিই তো, একা ঘরে বসে সে অ্যাপের মাধ্যমে একটি বার্গারের অর্ডার দিলেন আর আপনি যথাসময়ে পেয়ে গেলেন। তবে সেটি আপনার ঘরের দরজায় কোনো মানুষ পৌঁছে দিল নাকি রোবট অথবা বার্গারটি কোনো যন্ত্র বানিয়েছে নাকি মানুষ-সে ভাবনা তুচ্ছই বটে। কীভাবে মানুষ থেকে বিযুক্ত হয়ে পেটের উত্তাপ ঠান্ডা করা গেল, আজ থেকে কুড়ি কি ৩০ বছর আগে তা ভাবা যেত? শেরি টার্কেল তাই বলেছেন, অতি প্রযুক্তি নির্ভরতা মানুষের সামাজিক মূল্যবোধের লঙ্ঘন ও ঐতিহ্যের সংগতি নষ্ট করছে। মানবিক মূল্যবোধের ব্যত্যয় ঘটিয়ে, সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে শুধু একটি দিনে অনুষ্ঠান-আয়োজনই সংস্কৃতি নয়। পহেলা বৈশাখ পালনকে আমরা এখন যা করে ফেলেছি। সেটা শুধু মঙ্গল শোভাযাত্রা, মেলা, সরকারিভাবে ছুটির দিন ছাড়া আর কী? প্রিয় পাঠক, আসুন বলি, আজ বঙ্গাব্দের কত তারিখ? জানি না। ফলে, পহেলা বৈশাখ পালন আমরা কালকেও করতে পারি! কারণ, সংস্কৃতির আধারটি এখানে ছিন্ন। এখন আমরা পহেলা বৈশাখ পালন করি না, করি মূলত চৌদ্দই এপ্রিল পালন। অবশ্য এটি ঘোষণা দিয়ে করি না। কিছু বছর পরে হয়তো সে ঘোষণাও আসবে।
একটি বইয়ের দোকানে সেদিন সাহিত্য-আড্ডা হচ্ছিল, আর একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকায় কথাগুলো আমার কানেও আসছিল। কবিকুল পাণ্ডিত্য নিয়ে বললেন, ইউরোপের অনেক কিছুই এখন আমাদের। দুশ বছরের বেশি যেহেতু হয়ে গেছে, প্রথমে সেটি আধিপত্য বা জবরদস্তিমূলক হলেও এখন এটি বাঙালিরই। শুনে বেশিক্ষণ সেখানে অবস্থান করা আর সম্ভব হয়নি। এ মানসিকতা মূলত আত্মহননের, পরাজয়ের, বিস্মরণের। ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়’কে ভালোবাসাই সংস্কৃতিকে লালন করা। বিদেশি সিল্কের স্থান সবসময় পেছনেই থাকা প্রয়োজন। এটি একটি চলমান লড়াই। এটি না চালালে স্ব সংস্কৃতি লুপ্ত হয়। প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ববাস্তবতায় নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষার লড়াইটি তাই সহজ নয়। এটি বৃত্ত রক্ষার ডাক: বৃত্তের ভেতরে বৃত্ত!
লেখক: উপাচার্য, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
