আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে অনেকের সহ্য হচ্ছে না: মনির খান
রিয়েল তন্ময়
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জনপ্রিয় সংগীত তারকা মনির খান। প্রায় তিন দশক ধরেই গানের সঙ্গে রয়েছেন।
সংগীতশিল্পী হিসাবে পেয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। প্রকাশ করেছেন চল্লিশটির
বেশি একক অ্যালবাম। ডুয়েট ও মিক্সড মিলিয়ে প্রায় পাঁচশ অ্যালবামে গান গেয়েছেন। পাশাপাশি
রাজনীতিতেও সরব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে এবার মনোনয়ন চাইবেন এ সংগীতশিল্পী।
সংগীত জীবন ও রাজনীতি প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
যুগান্তর: বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আপনি। সম্প্রতি দল ছেড়ে দিয়েছেন
বলে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি কি সঠিক?
মনির খান: এটি গুজব। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করতে পরিকল্পনা মাফিক এ
গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কারণ, বিএনপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী আমি। এটি অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না।
এ কারণেই আমাকে ঘিরে বারবার ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
হয়েই ২০১৮ সালের পুরোনো একটি ঘটনাকে সামনে এনে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দলের সঙ্গে আমি সব
সময় ছিলাম, এখনো আছি। দল ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।
যুগান্তর: রাজনীতিতে তাহলে আপনি আরো সক্রিয় হচ্ছেন?
মনির খান: সক্রিয় ছিলাম আগে থেকেই। কঠিন সময়েও আমি দলের হয়ে কাজ করেছি।
গত দশ বছর ধরেই নিজ এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তাদের ভালোবাসা শিল্পী মনির
খান যেমন পেয়েছে, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবেও আমি সবার ভালোবাসা পাচ্ছি। মানুষের জন্য
আরও বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা থেকে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। যদি দল আমাকে যোগ্য
মনে করে, তাহলে অবশ্যই দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করব।
যুগান্তর: গানেও আপনি বেশ সরব। রাজনীতি ও গান একসঙ্গে চালিয়ে যেতে কোনো
সমস্যা হয় কি?
মনির খান: চ্যালেঞ্জ অবশ্যই রয়েছে এতে। প্রত্যেক কাজেই চ্যালেঞ্জ নিতে
হয়। গানের জন্যই আজকের মনির খান আমি। আমার ভক্ত-শ্রোতারা আমার গানের অপেক্ষায় থাকেন
সব সময়। তাদের জন্যই নিয়মিত গান প্রকাশের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। রাজনীতি করি মানুষের
ভালোবাসার প্রতিদানে, তাদের জন্য কিছু করার বাসনা থেকে। তাদেরও কিছু দিতে চাই, আমার
কাছে তাদের দাবি আছে। দুটিকেই তাই সঙ্গে নিয়ে পথ চলছি।
যুগান্তর: এক সময় অনেক প্লেব্যাক করতেন। এখন সেভাবে দেখা যায় না। কারণ
কী?
মনির খান: এখন তো আগের মতো সিনেমাই নির্মিত হচ্ছে না। সিনেমার সংখ্যা
বৃদ্ধি না পেলে তো গান গাওয়ার সুযোগ থাকে না। তা ছাড়াও যা নির্মিত হচ্ছে, সেগুলোতে
নতুন ছেলেমেয়েরা গাইছে। আর এটি নিয়ে কোনো আফসোসও নেই। কারণ, নতুনের জন্য সব সময় জায়গা
ছেড়ে দিতে হয়।
যুগান্তর : গান এখন ভিডিওনির্ভর। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?
মনির খান: এটি সময়ের দাবি। আমাদের সময়ে ক্যাসেট, সিডি ছিল। এখন আর এসব
নেই। সিডিও এখন আর কেউ কিনবে না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকেই
গান শোনা যায়। তাই যারাই এখন গান করছেন তারা দর্শক হৃদয়ে পৌঁছতে যেভাবে সুবিধা হয়
সেটিই গ্রহণ করছেন। এর জন্য এখন বেশি উপযোগী হলো মিউজিক ভিডিও।
যুগান্তর: বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
মনির খান: গান নিয়েই ব্যস্ত আছি। আমার দুটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। সেগুলোতে
প্রতি মাসেই দু-তিনটি গান প্রকাশ করি। এ ছাড়া টেলিভিশনের লাইভেও গান গাই। পাশাপাশি
ইনডোর কনসার্টও করছি। চলতি মাসের শেষের দিকে লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেব। আগামী
মাসে সৌদি আরব যাব।
