মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী লেভেল থ্রি কোচিং কর্মশালা। ১৫ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর চলা এই কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩০ জন স্থানীয় কোচ।

এই আয়োজনে আমন্ত্রণ না পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। 

জাতীয় দলের সাবেক এই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রথম লেভেল থ্রি কোচ। ২০০৬ সালে কোর্স করেছি। জাতীয় দলে কাজ না করলেও দেশের পাইপলাইনের ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করি। নতুন কিছু জানলে ক্ষতি হতো না। হয়তো অনেক কিছু আমার জানা আছে, তারপরও আমন্ত্রণ জানানো যেত।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোচিং ডেভেলপমেন্ট বিভাগের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ কর্মশালায় স্থানীয় কোচদের দক্ষতা বাড়াতে যুক্ত হয়েছেন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা। প্রশিক্ষক প্যানেলে রয়েছেন রস টার্নার, অ্যালান ক্যাম্পবেল, জেফ লসন, নাতাশা ক্যাম্পবেল এবং বাংলাদেশের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একমাত্র নারী প্রতিনিধি হিসেবে আছেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার এবং বর্তমানে মালদ্বীপ নারী দলের প্রধান কোচ ফাতেমা তুজ জোহরা।

কর্মশালার উদ্বোধনী দিনে আন্তর্জাতিক কোচ রস টার্নার বলেন, ’বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ে রাখতে হলে তিনটি দিক জরুরি-অবকাঠামো, দক্ষ কোচ ও সুশাসন। শুধু ঢাকার মাঠ নয়, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সুবিধাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি অনুপ্রেরণাদায়ী কোচ দরকার, যারা নিজেদের ক্রমাগত উন্নত করবে।’

কোচদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘শেখার কোনো শেষ নেই। যত বেশি শিখবেন, ততই নতুন কিছু শেখার প্রয়োজন হবে।’