|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এই ম্যাচটি প্রতিবেশী দুই দেশের জন্যই ‘অঘোষিত’ সেমিফাইনাল।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য আজকের ম্যাচে যারা জিতবে তারা সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে।
সুপার ফোরে তিন ম্যাচের মধ্যে দুই দল ইতোমধ্যে দুটি করে ম্যাচে খেলে, একটিতে জয় পেয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালের পথেই আছে।
আজ সুপার ফোরে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে যারা জিতবে তারা সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে। সুপার ফোরে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ইতোমধ্যে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে ভারত।
আগামী রোববার রাত সাড়ে ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে। সেই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে কারা ফাইনালে খেলবে আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে তা চূড়ান্ত হবে। আজ যারা জিতবে তারা ফাইনালে সঙ্গী হিসেবে ভারতকে পাবে।
বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তান যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে। বাংলাদেশ এখনও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও খেলতে পারেনি। অথচ পাকিস্তান ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জিতে নেয়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এখনও ফাইনালে খেলতে পারেনি। পাকিস্তান টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে ২০০৯ সালে শ্রীলংকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ তিনবার ফাইনালে খেললেও এখনও শিরোপা জিততে পারেনি। অথচ পাকিস্তান তিনবার ফাইনালে খেলে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০০০ সালে হারায় শ্রীলংকাকে আর ২০১২ সালে হারায় বাংলাদেশকে।
শুধু বিশ্বকাপ আর এশিয়া কাপই নয়! দুই দলের অতীতের সাক্ষাতেও বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে পাকিস্তান।
অতীতে দুই দল ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়। অতীতের সেই সাক্ষাতে বাংলাদেশ মাত্র ৫ বার পাকিস্তানকে হারায়। বাকি ২০ ম্যাচে একক আধিপত্য বিস্তার করে জয় লাভ করে পাকিস্তান।
এশিয়া কাপে ১৫ ম্যাচে দেখায় প্রতিবেশী এই দুই দলের। সেই ১৫ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র ২ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পেরেছে। বাকি ১৩ ম্যাচে জয় পায় পাকিস্তান।
সার্বিক পরিসংখ্যানে পাকিস্তানিরা এগিয়ে থাকলেও, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। ২০২৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৮ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে জয়-হার সমান ৪টি করে।
টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের সবশেষ ৫ দেখায় ৩টিতে পাকিস্তান জয় পায়। আর ২ ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে হারিয়েছে টাইগাররা। সেই স্মৃতিকে পুঁজি করে আজ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে; ২০১৮ সালের পর ফের এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ।
তাছাড়া পাকিস্তানের বর্তমান টিম, আহামরি কোনো দল নয়! তাদের দলে তেমন কোনো তারকা নেই। বাংলাদেশ দলের মতোই পাকিস্তান দল তারুণ্য নির্ভর। কাজেই অতীত পরিসংখ্যান না ঘেঁটে; নির্দিষ্ট দিনে নিজেদের সেরাটা উজার করে দিতে পারলে পাকিস্তানকে হারানো সময়ের ব্যাপার মাত্র!

